চসিক নির্বাচনে ১৪ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিত ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ১৪ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হচ্ছে। এর মধ্যে আট হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য রয়েছেন। এ ছাড়া গতকাল সোমবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেল থেকে মাঠে নেমেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। তারা নগরীতে টহল দিচ্ছেন।

আজ মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে পুলিশ সদর দপ্তর এক খুদে বার্তায় এই তথ্য জানায়।

আগামীকাল বুধবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এদিন সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত টানা ভোট চলবে।
চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে ৭৩৫ কেন্দ্রে। এর মধ্যে ৪২৯ কেন্দ্রকে গুরুত্বপূর্ণ (ঝুঁকিপূর্ণ) হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ, যা মোট কেন্দ্রের ৫৮ শতাংশ।

এদিকে, ৪১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৭৩৫টি ভোটকেন্দ্রে পুলিশ, আনসার, এপিবিএনের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। এর মধ্যে তিনটি ওয়ার্ড মিলে একটি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকছে। এ ছাড়া একটি করে রিজার্ভ স্ট্রাইকিং ফোর্সও থাকবে। দুটি ওয়ার্ডে এক প্লাটুনে ১০ জন করে বিজিবি সদস্য মোতায়েন থাকছে। প্রতি প্লাটুনে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। এ ছাড়া নৌপুলিশও দায়িত্বে থাকবে।

মূলত আওয়ামী লীগ-সমর্থিত কাউন্সিলর ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের দ্বন্দ্বে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে নির্বাচনী মাঠ। প্রচারের ফাঁকে এলাকায় ফিরেছে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরাও। তাই ভোটের দিন কেন্দ্রের সুষ্ঠু পরিবেশ নিয়ে ভোটারদের পাশাপাশি শঙ্কায় আছেন বেশির ভাগ প্রার্থীও।

নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বী ৭ জন। কাউন্সিলর প্রার্থী ২২৫ জন। এবার ভোটার ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬ জন।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রচার শুরু হয় ৮ জানুয়ারি। শেষ হয় ২৫ জানুয়ারি।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য হবে বলে গত রোববার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার আশ্বস্ত করেন।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.