ফের চীনা-ভারত সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষ

ভারত ও চীনের মধ্যে সীমান্ত সংঘাতের মধ্যে ফের দু’দেশের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বিষয়টিকে ‘ছোট সংঘর্ষ’ বলে অভিহিত করা করেছে।

দেশটির সেনাবাহিনী বলেছে, ২০ জানুয়ারি নাকু লা-য় ‘ছোট সংঘর্ষ’ ঘটেছিল। স্থানীয় সেনা কর্মকর্তারাই নিয়ম মেনে তার সমাধান করেছেন। গণমাধ্যমকে এ নিয়ে ‘অতিরঞ্জিত’ রিপোর্ট এড়ানোর পরামর্শও দিয়েছে ভারতীয় সেনারা।

এর আগে গালওয়ান উপত্যকায় ভারত ও চীনা সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে উভয় দেশের কর্মকর্তাদের মধ্যে নবম দফার বৈঠক হলেও এখনও ওই সমস্যার সমাধান হয়নি। আজ (২৫ জানুয়ারি) ভোর আড়াইটে নাগাদ দুদেশের সেনাবাহিনীর কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক শেষ হয়। ১৫ ঘণ্টা ধরে ওই বৈঠক চলে। কিন্তু এরইমধ্যে নতুনভাবে ভারতের সিকিম সীমান্তে ভারত ও চীনা সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষের খবর প্রকাশ্যে এসেছে।

সেনা সূত্রকে উদ্ধৃত করে ভারতীয় গণমাধ্যমে বলা হয়, কিছুদিন আগে নাকু লা-য় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দু’দেশের বাহিনী। গালওয়ানের মতোই গত সপ্তাহে উত্তর সিকিম সীমান্তের নাকু লা দিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা চালিয়েছিল চীনা সেনা। আবহাওয়া খারাপ থাকার সুযোগে ভারতের ভূখণ্ডে প্রবেশের চেষ্টা করে চীনা বাহিনী। কিন্তু ভারতীয় বাহিনী তাদের প্রবল ভাবে বাধা দিলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। ওই ঘটনায় কমপক্ষে ২০ চীনা সেনা সদস্য আহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। একইভাবে ৪ ভারতীয় সেনা জওয়ানও আহত হয়েছে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য পিছু হঠতে বাধ্য হয় চীনা সেনাবাহিনী।

এদিকে, আজ ভারতের প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধী এমপি দেশটির প্রধানমন্ত্রী মোদিকে কটাক্ষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলেন, চীন, ভারতীয় ভূখণ্ডে তার দখল প্রসারিত করছে। ‘মিস্টার ৫৬ ইঞ্চি’ কয়েক মাস ধরে ‘চীন’ শব্দটি বলেননি। হতে পারে তিনি ‘চীন’ শব্দটি বলে শুরু করতে পারেন।

অন্যদিকে, কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র রণদীপ সিং সূর্যেওয়ালা বলেছেন, ‘মোদিজি, দেশের সীমান্তে চীনা দখল এবং অনুপ্রবেশ সম্পর্কে আপনার রহস্যময় নীরবতা শত্রুকে উত্সাহিত করছে। চীনকে ভয় করবেন না, পুরো দেশ দৃঢ়তার সঙ্গে লড়বে। পরিস্থিতি কী তা স্পষ্ট করুন। জাতীয় নিরাপত্তা লুকোচুরি খেলা নয়, পরিস্থিতি মারাত্মক!’

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.