ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি প্রতিহত করার দাবি ফিরোজ রশীদের

ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ও নাস্তিক নির্মূল কমিটি প্রতিহত করার দাবি জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ।

তিনি বলেন, আমাদের কিছু সংগঠন আছে ভুঁইফোড়। একটি সংগঠন আছে নাস্তিক নির্মূল কমিটি আর একটি সংগঠন হচ্ছে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। এই নির্মূল করার ক্ষমতা এদের কে দিয়েছে। তুমি কে লোককে নির্মূল করার। আমাদের দেশে কোর্ট-কাচারী আছে না?

আজ রোববার (২৪ জানুয়ারি) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনিত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, অনেক বিচার করেছে এই সরকার। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে ঘাতকদের বিচার হচ্ছে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে তুমি কেন নির্মূল করতে চাও, তোমরা নির্মূল করার কারা। তোমরা নিজেরা পুলিশ পাহারায় থেকে ধান্দাবাজি করছো। এদের প্রতিহত করা দরকার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলবো এই সমস্ত সংগঠনগুলো বন্ধ করুন যাতে কেউ নির্মূল করতে না পারে। কিসের নির্মূল কমিটি। এটা সমাজের একটা কালচার হয়ে গেছে।

এ সময় নিজ দলের সংসদ সদস্যদের একহাত নিয়েছেন কাজী ফিরোজ রশীদ। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট করে জাপা নির্বাচন করেছে। জাপা সংসদে বিরোধী দলে বসেছে। এটা গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। কিন্তু জাপার কারও কারও বক্তব্যে বোঝা যায় না, তারা কোন দলের সদস্য।

কাজী ফিরোজ বলেন, জাপার সংসদ সদস্যরা বক্তব্য দেন। কিন্তু তারা দলের প্রতিষ্ঠাতা এইচ এম এরশাদের নামও উল্লেখ করেন না। অথচ তারা জাপার সদস্য। তিনি এই বিষয়টি দলীয় ফোরামে তুলবেন বলে জানান।

আওয়ামী লীগের প্রতিও ক্ষোভ প্রকাশ করেন কাজী ফিরোজ। তিনি বলেন, সরকার উন্নয়ন করছে। এই উন্নয়নে জাপার ভূমিকা আছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতারা একবারও জাপার কথা বলেন না। এত কার্পণ্য কেন- এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, এটা গণতন্ত্রের ভাষা না। ২০১৪ সালের নির্বাচনে জাপা অংশ না নিলে নির্বাচন হতো না। সরকার, সংবিধান, সংসদ কিছুই থাকত না। গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেই জাপা সেই নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল।

কাজী ফিরোজ বলেন, দেশের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী কঠোর পরিশ্রম করছেন। কিন্তু অর্থ লুটপাট হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে ব্যাংক, লিজিং কোম্পানি থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে।

‘একটি সরকার দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকলে আত্মীয়স্বজনের অভাব হয় না। শালা-সম্বন্ধী সবাই ঝাঁপিয়ে পড়ে ব্যাংকঋণের জন্য। পেয়েও যায়। বিভিন্ন ব্যাংক থেকে টাকা চলে গেছে। শুধু পি কে হালদারকে ধরলে হবে না। পেছনে কারা আছে, তা–ও বের করতে হবে। হাজার হাজার কোটি টাকা চলে গেল। এর সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের অসাধু কর্মকর্তারা জড়িত। যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।’

জাপার এই সংসদ সদস্য আরও বলেন, জনগণের টাকায় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট পাঠানো হয়েছে। কিন্তু একটি বিশেষ কোম্পানি এখান থেকে লাভ উঠিয়ে নিচ্ছে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.