লেনদেন ও সূচকের নিম্নমুখী ধারায় সপ্তাহ শেষ

আগের সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজারমূলধনে নতুন রেকর্ডের পর একটু থিতু হয়েছে বাজার। সর্বশেষ সপ্তাহে বাজারমূলধন সামান্য কমেছে। একইসাথে কমেছে মূল্যসূচক ও লেনদেন।

এই মাইলফলক যুক্ত হয়েছে। পাশাপাশি মূল্যসূচকেও ঘটেছে বড় উল্লম্ফন। তবে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা কমেছে।

আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে (১৪ জানুয়ারি) বাজারমূলধন প্রায় ৬ শতাংশ বা ৩১ হাজার ৪৩৯ কোটি টাকা বেড়ে ৫ লাখ ১ হাজার ৭০৯ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছিল। এর মধ্য দিয়ে বাজারমূরধনের নতুন রেকর্ড হয়েছিল। তবে বাজার ওই অবস্থান ধরে রাখতে পারেনি। গত সপ্তাহে বাজারমূলধন আগের সপ্তাহের চেয়ে ৯ হাজার ৪২০ কোটি টাকা বা ১ দশমিক ৮৮ শতাংশ কমে ৪ লাখ ৯২ হাজার ২৮৯ কোটিতে নেমে আসে।

গত সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের সপ্তাহের চেয়ে ৭৩ দশমিক ১৩ পয়েন্ট (১.২৭%) কমে ৫ হাজার ৮৩৬ দশমিক ১৮ পয়েন্টে নেমে আসে। আগের সপ্তাহে এই সূচক  চেয়ে ২৮৭ দশমিক ৫৪ পয়েন্ট বেড়েছিল।

গত সপ্তাহে বাজারমূলধনে শীর্ষ ৩০ কোম্পানির মূল্যসূচক ডিএস৩০ আগের সপ্তাহের চেয়ে ২৮ দশমিক ৩৩ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ২৭ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ২০৮ দশমিক ৪৫ পয়েন্ট হয়েছে।

প্রফিটটেকিংয়ের কারণে গত সপ্তাহে বাজারে বিক্রির চাপ ছিল বেশি। আর তাতেই কমেছে মূল্যসূচক ও বাজারমূলধন।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে ৩৬৪ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৪ টির, কমেছে ২২৯ টির। আর ৫১ টির দাম ছিল অপরিবর্তিত।

গত সপ্তাহে বাজারে সবচেয়ে বেশি পরিবর্তন দেখা গেছে লেনদেনে। এ সপ্তাহে ডিএসইতে গড়ে দৈনিক এক হাজার ৫৬৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা মূল্যের শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। আগের সপ্তাহে দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ ছিল এক হাজার ৮৬৮ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। সপ্তাহে ব্যবধানে দৈনিক গড় লেনদেন কমেছে ৩০৩ কোটি ৬৮ লাখ টাকা বা ১৬ দশমিক ২৫ শতাংশ।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.