মায়ের অনুপ্রেরণাতেই সিরাজের ৫ উইকেট

চোট আঘাতে জর্জরিত হয়ে ভারতীয় দলের মূল বোলাররা দলের বাইরে। বোলিং নেতৃত্বে মাত্র ৩য় টেস্ট খেলতে নামা মোহাম্মদ সিরাজের কাঁধে প্রায় ১৩৬ কোটি মানুষের প্রত্যাশার বোঝা। এমন পাহাড়সমান চাপ ও দর্শকদের বিদ্রুপাত্যক মন্তব্যকে তুচ্ছ করেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট তুলে নেন তিনি। এমন বোলিং করতে মায়ের অনুপ্রেরণা কাজে দিয়েছে বলে জানান এই পেসার।

অটোরিকশাচালক বাবার স্বপ্ন ছিল ছেলে ক্রিকেটার হবে। ভারতীয় দলের জার্সিতে একটি টেস্ট হলেও খেলবে। হায়দরাবাদের হতদরিদ্র পরিবারে বেড়ে ওঠা সিরাজ বাবার স্বপ্ন পূরণ করেছেন মেলবোর্নের দ্বিতীয় টেস্টেই। কিন্তু নিজের স্বপ্নপূরণের মুহূর্ত নিজের চোখে দেখতে পাননি তাঁর বাবা। কারণ নভেম্বরেই ইহলোকের মায়া ত্যাগ করেছেন সিরাজের বাবা মোহাম্মদ গাউস।

টিম ম্যানেজমেন্ট তাঁকে ভারতে ফিরে আসার অনুমতি দিলেও তিনি অস্ট্রেলিয়ায় দলের সঙ্গে থাকাই উচিত বলে মনে করেছিলেন। মানসিক হতাশাকে দূরে সরিয়ে তিনি যে শুধুমাত্র ক্রিকেটে মনোযোগ রেখেছিলেন, তারই পুরস্কার ব্রিসবেনে পেলেন বলায় যায়!

সিডনির মতো ব্রিসবেনের দর্শকরাও বর্ণবাদী মন্তব্যের ধারা অব্যাহত রেখেছিলো সিরাজের উদ্দেশ্যে। এ প্রসঙ্গে সিরাজ বলেন, ‘বাড়িতে মায়ের সঙ্গে কথা বলে নিজেকে শক্তিশালী অনুভব করেছি আমি।। তিনি আমার মানসিক শক্তি বাড়াতে অনুপ্রেরণামূলক কথা বলেছেন। তাই আমি মানসিকভাবে শক্তিশালী ছিলাম এবং আমার বাবার স্বপ্ন পূরণে মনোযোগী ছিলাম।’

কিন্তু কঠিন সব পরিস্থিতিকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে ক্যারিয়ারের তৃতীয় টেস্টেই প্রথম ৫ উইকেট ঝুলিতে ভরেছেন সিরাজ। প্যাভিলিয়নের রাস্তা দেখিয়েছেন মার্নাস ল্যাবুশেন, স্টিভ স্মিথ, ম্যাথু ওয়েড, মিচেল স্টার্ক এবং জশ হ্যাজেলউডকে।

এ প্রসঙ্গে সিরাজ আরও বলেন, ‘আমি কৃতজ্ঞ যে আমি ৫ উইকেট পেয়েছি। আমার জন্য খুবই কঠিন পরিস্থিতি কারণ আমি কিছুদিন আগেই আমার বাবাকে হারিয়েছি।’

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.