রাজধানীর ৩০০ কেন্দ্রে দেয়া হবে করোনার টিকা

মহামারি করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন (টিকা) দিতে রাজধানী ঢাকায় সরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ৩০০টি কেন্দ্র করা হবে। এখান থেকে টিকা দেওয়া হবে। তবে প্রাথমিকভাবে এ টিকা ১৮ বছরের নিচের কাউকে দেওয়া হবে না।

আজ সোমবার (১৮ জানুয়ারি) এ কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি রাজধানীর রিপোটার্স ইউনিটিতে ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে এসব কথা জানান।

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদন করা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা আনবে সরকার। এই টিকা আনার জন্য বাংলাদেশ সরকার, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যাল ও সেরামের সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় চুক্তির কথা আগেই জানানো হয়েছে। এর আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম ২৬ জানুয়ারির মধ্যে টিকা আসার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিলেন। আজ বিষয়টি নিশ্চিত করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

জাহিদ মালেক আজ বলেন, ২৬ জানুয়ারির মধ্যে সেরামের তৈরি অক্সফোর্ড–অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি টিকার প্রথম চালান আসবে।

টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জাহিদ মালেক বলেন, সব ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে। এ কথা সব ওষুধের গায়েই লেখা থাকে। টিকা দেওয়ার পর কোনো সমস্যা হলে যেন দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সে জন্যই হাসপাতাল বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে বেছে নেওয়া হয়েছে টিকাদানের কেন্দ্র হিসেবে।

টিকার দামের প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ৪ ডলার দরে টিকা কিনছে। আর পরিবহন খরচ এক ডলার।

ফাইজার–বায়োএনটেকের তৈরি টিকা বাংলাদেশ নিতে চায় কি না, তা জানানোর শেষ দিন ছিল আজ। বাংলাদেশ এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নিয়েছে কি না, এ প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা এ বিষয়ে আগ্রহী জানিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বরাবর চিঠি দিয়েছি।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.