এমসি কলেজে গণধর্ষণ: ৮ ছাত্রলীগ নেতার বিচার শুরু

সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে গৃহবধূকে গণধর্ষণ মামলায় আট ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে অভিযুক্ত করে অভিযোগ গঠন (চার্জ গঠন) করেছেন আদালত। এর মাধ্যমে আলোচিত এই গণধর্ষণ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার কার্যক্রম শুরু হলো।

আজ রোববার (১৭ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মহিতুল হক আসামিদের উপস্থিতিতে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন।

এসময় আসামিদের সবাই আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। আসামিদের পক্ষে সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি ও অর্জুন লস্কর অব্যাহতি চেয়ে আইনজীবীদের মাধ্যমে আবেদন করলে তা খারিজ করেন আদালত। এছাড়া, রনির পক্ষের আইনজীবী জামিন আবেদন করলে তা খারিজ করেন বিচারক।

মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শহীদুল ইসলাম অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েট শুনানিতে অংশ নেন।

গত মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) আদালতে অভিযোগপত্র গ্রহণ করা হয়। এর আগে ১০ জানুয়ারি অভিযোগ গঠন করে এ মামলার বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর কথা থাকলেও বাদী পক্ষের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার মামলার কগনিজেন্স (আমল গ্রহণ) শুনানির দিন ধার্য করা দিন ছিল।

বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলাম বলেন, আসামি পক্ষ অব্যাহতি চেয়ে জামিন আবেদন করলেও তা খারিজ করে দেন বিচারক।

গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় এমসি কলেজ ছাত্রাবাসের ভেতরে একটি রাস্তায় স্বামীকে আটকে প্রাইভেটকারের ভেতর ওই গৃববধূকে (২৫) পালাক্রমে ধর্ষণ করে ছাত্রলীগের ৬ নেতাকর্মী। ঘটনার রাতেই নির্যাতিতার স্বামী বাদী হয়ে এসএমপির শাহপরান থানায় ৬ জনের নামোল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন।

পরবর্তীতে ৬ আসামিসহ সন্দেহভাজন আরও ২ জনকে গ্রেফতার করে র‌্যাব ও পুলিশ। গ্রেফতার হওয়া আটজনই মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে ফৌজদারি দণ্ডবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

মামলাটি তদন্ত করে গত ৩ ডিসেম্বর গ্রেফতার ছাত্রলীগের ৮ নেতাকর্মীকে অভিযুক্ত করে মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) আদালতে জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহপরান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য। এ মামলায় মোট সাক্ষী করা হয়েছে ৫২ জনকে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.