পৌরসভা নির্বাচনে হামলা-সংঘর্ষ, মেয়রসহ ১৩ কাউন্সিলর প্রার্থীর ভোট বর্জন

স্থানীয় সরকার পরিষদের অন্যতম শক্তিশালী স্তর পৌরসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ৬০টিতে ভোট হচ্ছে। দ্বিতীয় ধাপের পৌরসভা নির্বাচনে দেশের বিভিন্ন স্থানে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

আজ শনিবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। পৌরসভাগুলোর মধ্যে ২৯টিতে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এবং ৩১টিতে ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে।

সবশেষ খবরে, পাবনা ও বাগেরহাটে ভোটকেন্দ্রে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ফেনীতে ককটেল বিস্ফোরণে পুলিশ সদস্যসহ দুইজন আহত হয়েছে।

অনিয়ম ও ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে মোংলা পোর্ট পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থীসহ মোট ১৩ জন কাউন্সিলর প্রার্থী ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।

ভোট বর্জনকারী কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে জামায়াত সমর্থিত দুজনসহ মোট ৯ জন রয়েছেন। এছাড়া ৪ জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থীও ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।

বাগেরহাটের মোংলায় দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়। পাবনার ঈশ্বরদীতে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হামলা চালানোর অভিযোগ করেছেন বিএনপি প্রার্থী। তিনি জানান, ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভোট দিতে গেলে তাকে বাধা দেওয়া হয়। পরে তাদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়।

এদিকে ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে ভোটারদের কেন্দ্রে থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তারা জানান, সকালে কেন্দ্রে ভোট দিতে গেলে তাদেরকে বের করে দেওয়া হয়।

এছাড়া, রাজশাহীর বাগমারার ভবানীগঞ্জ পৌরসভায়ও বিএনপির মেয়র প্রার্থীকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ এনে ভোট বর্জন করেছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্র জানায়, ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ হচ্ছে দিনাজপুরের জেলার বীরগঞ্জ, বগুড়ার সারিয়াকান্দি ও সান্তাহার, নওগাঁর নজিপুর, রাজশাহীর কাকনহাট ও আড়ানী, নাটোরের নলডাঙ্গা, সিরাজগঞ্জের কাজিপুর, পাবনার ফরিদপুর, মেহেরপুরের গাংনী, কুষ্টিয়ার কুমারখালী, ঝিনাইদহের শৈলকুপা, বাগেরহাটের মোংলা পোর্ট, মাগুরার মাগুরা, পিরোজপুরের পিরোজপুর, টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী, ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া, নেত্রকোনার কেন্দুয়া, কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর, ঢাকার সাভার, নরসিংদীর মনোহরদী, নারায়ণগঞ্জের তারাবো, শরীয়তপুরের শরীয়তপুর, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর, কুমিল্লার চান্দিনা, ফেনীর দাগনভূঞা, নোয়াখালীর বসুরহাট, খাগড়াছড়ির খাগড়াছড়ি এবং গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভায়।

আর ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ হচ্ছে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ, সিরাজগঞ্জের বেলকুচি, উল্লাপাড়া, সদর ও রায়গঞ্জ, নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ, কুষ্টিয়ার সদর, ভেড়ামারা ও মিরপুর, মৌলভীবাজারের কুলাউড়া ও কমলগঞ্জ, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ ও সদর, দিনাজপুর সদর ও বিরামপুর, পাবনার ভাঙ্গুড়া, সাথিয়া ও ঈশ্বরদী, রাজশাহীর ভবানীগঞ্জ, সুনামগঞ্জের সদর ও ছাতক, হবিগঞ্জের মাধবপুর ও নবীগঞ্জ, ফরিদপুরের বোয়ালমারী, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা, নাটোরের গুরুদাসপুর ও গোপালপুর, বগুড়ার শেরপুর, বান্দরবান জেলার লামা এবং কিশোরগঞ্জ সদর পৌরসভায়।

দ্বিতীয় ধাপে ৬১টি পৌরসভার তফসিল ঘোষণা করলেও নীলফামারীর সৈয়দপুরের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। মেয়র পদের স্বতন্ত্র প্রার্থী (নারিকেল গাছ প্রতীক) মো. আমজাদ হোসেন সরকারের মৃত্যুতে এ পৌরসভার ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়।

দেশের ৩২৯টি পৌরসভার মধ্যে প্রথম ধাপে ২৪টি পৌরসভায় ইভিএমে ভোট হয় ২৮ ডিসেম্বর। তৃতীয় ধাপে ৬৪টি পৌরসভায় ৩০ জানুয়ারি এবং চতুর্থ ধাপে ৫৬টি পৌরসভায় ১৪ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.