বাংলাদেশে জনপ্রিয় হচ্ছে তুরস্কের ‘বিপ’

জনপ্রিয় যোগাযোগ মাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের মধ্যে বিভিন্ন তথ্যের গোপনীয়তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হওয়ার প্রেক্ষাপটে তুরস্কের ‘বিপ’ এখন অনেকে দেশে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তবে বাংলাদেশে এই অ্যাপের জনপ্রিয়তা সবাইকে ছাড়িয়েছে।

বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুগল প্লে স্টোর থেকে বাংলাদেশের ব্যবহারকারীদের অ্যাপ ডাউনলোডের র‍্যাংকিং বিবেচনা করে দেখা যাচ্ছে যে বিপের ডাউনলোড মাত্র একদিনের ব্যবধানে ৯২ ধাপ এগিয়ে সবার শীর্ষে উঠে এসেছে।

অ্যাপটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান তুরস্কের রাষ্ট্রীয় মোবাইল অপারেটর কোম্পানি তুর্কসেলের মহাব্যবস্থাপক মুরাত এরকান সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহকে জানান, কয়েকদিন ধরে প্রতি ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ২০ লাখ করে নতুন ব্যবহারকারী পাচ্ছেন তারা।

শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টা পর্যন্ত তুর্কসেলের এই অ্যাপটি শুধু গুগল প্লে স্টোরেই পাঁচ কোটিবার ডাউনলোড করা হয়েছে। এছাড়া অ্যাপলের আইফোন ব্যবহারকারীরাও অ্যাপটি ব্যবহার করছেন। গুগল প্লে স্টোরে অ্যাপটি সম্পর্কে রিভিউ দিয়েছেন ১০ লাখের বেশি মানুষ।

বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইমো এর মতো অ্যাপগুলোকে পেছনে ফেলে তালিকার এক নম্বরে রয়েছে তুরস্কের মেসেজিং এই অ্যাপ।

সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়েছে যে, ব্যবহারকারীদের কিছু তথ্য তারা তাদেরই সহযোগী কোম্পানির সঙ্গে শেয়ার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে হোয়াটসঅ্যাপে আদান-প্রদান করা বার্তা এবং তথ্যের গোপনীয়তা বজায় থাকবে কি না – তা নিয়ে ব্যবহারকারীদের মাঝে উদ্বেগ তৈরি হয়।

মোবাইল ডেটা বিশ্লেষণকারী প্রতিষ্ঠান ‘অ্যাপ অ্যানি’ জানাচ্ছে, বাংলাদেশে এখন সবার শীর্ষে রয়েছে তুরস্কের অ্যাপ বিপ। বিপ অ্যাপ-এর তরফ থেকে যে বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে, সেখানে তাদের পক্ষ থেকে গোপনীয়তার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে।

বলা হয়েছে, এটি এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপটেড, অর্থাৎ ভয়েস কল এবং মেসেজ আদান-প্রদান গোপন থাকবে এবং এটি কেউ হ্যাক করতে পারবে না। এই অ্যাপ অনেকটা হোয়াটসঅ্যাপ-সহ অন্যান্য ভিডিও কলিং ও মেসেজিং অ্যাপের মতো করেই কাজ করে।

আইওএস চালিত আইফোন এবং অ্যান্ড্রয়েড চালিত মোবাইল ফোনে এই অ্যাপ ডাউনলোড করা যায়। এছাড়া ডেস্কটপেও ব্যবহার করা যায় এই অ্যাপ।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.