সোমবার থেকে যুক্তরাজ্যে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা

যুক্তরাজ্যে করোনার নতুন ধরন বা ভ্যারিঅ্যান্টের ব্যাপক সংক্রমণ দেখা দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সব ট্রাভেল করিডোর বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। আগামী সোমবার (১৮ জানুয়ারি) থেকে ট্রাভেল করিডোর বন্ধ করে দিতে যাচ্ছে দেশটি।

গত সামারে যুক্তরাজ্য ট্রাভেল করিডোর চালু করেছিল। সেসময় বলা হয়েছিল, যেসব দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ একেবারেই কম সেসব দেশ থেকে যুক্তরাজ্যে এলে কোয়ারেন্টিন পালন করতে হবে না। তবে করোনার বর্তমান পরিস্থিতিতে সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসছে দেশটি।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাসের নতুন একটি স্ট্রেইন থেকে সুরক্ষায় আগামী সোমবার সকাল থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এখন থেকে বিদেশফেরত সবাইকেই কোভিড নেগেটিভের প্রমাণ দেখাতে হবে।

ব্রাজিলে শনাক্ত হওয়া নতুন ধরনের করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে দক্ষিণ আমেরিকা ও পর্তুগাল ফেরত যাত্রীদের ওপর গতকাল শুক্রবার থেকে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে যুক্তরাজ্যে। এরই ধারাবাহিকতায় সব ভ্রমণপথে কড়াকড়ি আরোপ করা হচ্ছে দেশটিতে।

অন্য দেশ থেকে যুক্তরাজ্যে আগতদের প্রথমে এবং পাঁচদিন পরে নেগেটিভ এলে ১০ দিন পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই কড়াকড়ি চালু থাকবে বলে জানিয়েছেন বরিস জনসন।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, মহামারি শুরু থেকে এ পর্যন্ত এই সপ্তাহের শুরুতে একদিনে হাসপাতালে সর্বোচ্চ রোগী ভর্তি হয়েছে। দেশের জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা খাত ‘নজিরবিহীন চাপে’ আছে।

করোনা শনাক্তের সংখ্যা হু হু করে বেড়ে চলেছে যুক্তরাজ্যে। গত শুক্রবার ৫৫ হাজার ৭৬১ জনের করোনা ধরা পড়ে। আগের দিন করোনা শনাক্ত হয় ৪৮ হাজার ৬৮২ জনের। যুক্তরাজ্যে এ পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৮৭ হাজার ২৯১ জনের।

এই ট্রাভেল করিডোর চালু হওয়ার ফলে কোনোরকমে হলেও ব্যবসা চালাতে পারছিল পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম পরিবহণ ব্যবসার দেশ যুক্তরাজ্যের এয়ারলাইন প্রতিষ্ঠানগুলো। তবে নতুন এ সিদ্ধান্তে আবার ধাক্কা খেল যুক্তরাজ্যের এয়ারলাইন প্রতিষ্ঠানগুলো।

সূত্র: বিবিসি।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.