কৃষিপণ্য রপ্তানি বিষয়ে জার্মানিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মশালা

ইউরোপের সমৃদ্ধ দেশ জার্মানিতে রপ্তানি বৃদ্ধি এবং কৃষিপণ্যের ব্যবসা, মান উন্নয়ন ও মানসনদ বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জার্মানিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ও জার্মান এগ্রিবিজনেস অ্যালায়েন্স (German Agribusiness Alliance) এর যৌথ উদ্যোগে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। ভার্চুয়াল এই কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন মন্ত্রী ড: মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এমপি।

বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

কর্মশালায় জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া এনডিসি, কৃষি সচিব মোঃ মেসবাহুল ইসলাম, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মোহম্মদ বখতিয়ার, বাংলাদেশে অবস্থিত জার্মান দূতাবাসের হেড অব মিশন Constanza Zaehringer, German Agribusiness Alliance এর রিজিওনাল ডাইরেক্টর Dr. Jens Oeding, GLOBALG.A.P এর চিফ এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর Dr. Kristain Möller, ইউএস এইডের কর্মকর্তা অনিরুদ্ধ রায়, বাংলাদেশ জার্মান চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ড্রাস্ট্রির সিইও রাষ্ট্রদূত সাহেদ আখতার, বাপা এর নির্বাহী বোর্ডের সদস্যবৃন্দ, বাংলাদেশ ফল ও সবজী রপ্তানিকারক এসোসিয়েশনের সভাপতি সেক্রেটারিসহ সদস্যবৃন্দ, কৃষি মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব রুহিল আমিন, সাবেক অতিরিক্ত সচিব শাহ আমিনুল হকসহ জার্মান ও বাংলাদেশের বেশকিছু সংগঠনের নেত্রীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

পুরো কর্মশালাটি সঞ্চালনা করেন জার্মানিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর মো: সাইফুল ইসলাম।

কর্মশালায় কৃষিমন্ত্রী মন্ত্রী ড: মোঃ আব্দুর রাজ্জাক অংশগ্রহণকারীদের স্বাগত জানিয়ে এই অনুষ্ঠান আয়োজন করার জন্য বাংলাদেশ দূতাবাস জার্মানি এবং জার্মান এগ্রি বিজনেস অ্যালায়েন্সকে ধন্যবাদ জানান।

তিনি বলেন, যে জার্মানি বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ইউরোপের প্রথম স্বীকৃতিদানকারী রাষ্ট্র। ইউরোপের মধ্যে জার্মানিতেই বাংলাদেশের রপ্তানি সবচেয়ে বেশী। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কৃষি উন্নয়নে সর্বোচ্চ গুরুত্বের কারণে বাংলাদেশ খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে এবং সব্জি ও ফল উৎপাদনে পৃথিবিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে।

ড. আব্দুর রাজ্জাক জার্মানি এবং অন্যান্য ইইউ দেশগুলিতে ফলমূল, শাকসবজি এবং ভেষজ জাতীয় ফসল রফতানির বিপুল সম্ভাবনার কথাও তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন।

এ বিষয়ে জার্মানিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর মো: সাইফুল ইসলাম অর্থসূচককে বলেন, বাংলাদেশে বিভিন্ন মৌসুমে অনেক কৃষিপণ্য যথেষ্ট উদ্বৃত্ত থাকে। এসব পণ্য বিদেশে রপ্তানি করা গেলে একদিকে দেশে মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা আসবে; অন্যদিকে কৃষকরা পণ্যের উপযুক্ত মূল্য পাবেন। তাতে গ্রামীণ অর্থনীতিসহ সামগ্রিক অর্থনীতি লাভবান হবে।

তিনি বলেন, বর্তমানে সীমিত পরিসরে কিছু কৃষিপণ্য রপ্তানি হয়। কিন্তু সেগুলো মূলত এশিয়ান মার্কেটেই সীমাবদ্ধ। ইউরোপের মূলবাজার ধরা গেলে এই রপ্তানির আকার সহজেই অনেক বড় করা যাবে।

মো: সাইফুল ইসলাম বলেন, ইউরোপের বাজার বাংলাদেশী কৃষিপণ্যের জন্য খুবই সম্ভাবনাময়। তবে এ সম্ভাবনা কাজে লাগাতে বেশ প্রস্তুতি প্রয়োজন। কারণ ইউরোপের দেশগুলো পণ্যের মানের ব্যাপারে অনেক কঠোর। তাই একদিকে পণ্যের মান নিশ্চিত করতে হবে, প্যাকেজিংয়ের মান বাড়াতে হবে। পাশাপাশি রপ্তানিকারী প্রতিষ্ঠানের আন্তর্জাতিক মান সনদ থাকতে হবে। এসব বিষয় সংশ্লিষ্টদের সামনে তুলে ধরার লক্ষ্যেই আলোচিত কর্মশালাটির আয়োজন করা হয়।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.