বাজারমূলধনের রেকর্ডে শেষ হল সাপ্তাহিক লেনদেন

নতুন মাইলফলকে উঠে শেষ হয়েছে পুঁজিবাজারের সাপ্তাহিক লেনদেন। বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজারমুলধনে নতুন এই মাইলফলক যুক্ত হয়েছে। পাশাপাশি মূল্যসূচকেও ঘটেছে বড় উল্লম্ফন। তবে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা কমেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার মূল্যসূচকের উর্ধমুখী ধারায় লেনদেন শেষ হয় বাজারে। ডিএসইতে প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১৩৯ দশমিক ৩০ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে হাজার ৯০৯ দশমিক ৩০ পয়েন্টে উন্নীত হয়। সপ্তাহের ব্যবধানে সূচক বাড়ে ২৮৭ দশমিক ৫৪ পয়েন্ট বা ৫ দশমিক ১১ শতাংশ।

আলোচিত সপ্তাহে বাজারমূলধনে শীর্ষ ৩০ কোম্পানির মূল্যসূচক ডিএস৩০ আগের সপ্তাহের চেয়ে ১৮৮ দশমিক ৭১ পয়েন্ট বা ৯ দশমিক ২১ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ২৩৬ দশমিক ৭৮ পয়েন্টে উন্নীত হয়।

ডিএস৩০ সূচকের বড় উল্লম্ফনে ডিএসইর বাজারমূলধনে ব্যাপক পরিবর্তন আসে। আলোচিত সপ্তাহে এই এক্সচেঞ্জের বাজারমূলধন প্রায় ৬ শতাংশ বা ৩১ হাজার ৪৩৯ কোটি টাকা বেড়ে ৫ লাখ ১ হাজার ৭০৯ কোটি টাকায় উন্নীত হয়। আর এর মধ্য দিয়েই হয় নতুন রেকর্ড। দেশের পুঁজিবাজারের মূলধন এর আগে কখনো ৫ লাখ কোটি টাকার ঘর স্পর্শ করেনি।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে ৩৬৪ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৪৬টির, কমেছে ১৬৮টির। আর ৫০টির দাম ছিল অপরিবর্তিত।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে গড়ে দৈনিক এক হাজার ৮৬৮ কোটি ৬৫ লাখ টাকা মূল্যের শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। আগের সপ্তাহে দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ ছিল এক হাজার ৯৯০ কোটি ২৩ লাখ টাকা। সপ্তাহে ব্যবধানে দৈনিক গড় লেনদেন কমেছে ১২১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা বা প্রায় ৬ দশমিক ১১ শতাংশ।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.