মেয়ের ঝুলন্ত মরদেহ দেখে মারা গেলেন বাবাও

কুষ্টিয়ার মিরপুরে মেয়ের আত্মহত্যার খবর পাওয়ার দুই ঘণ্টা পর মারা গেলেন বাবাও। মৃতরা হলেন- মোস্তফা (৪৫) ও মেয়ে শান্তনা খাতুন (২০)।

আজ মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে কুষ্টিয়ার মিরপুর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড সুলতানপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মিরপুর পৌরসভার কাউন্সিলর খোয়াব আলী গণমাধ্যমকে জানান, সুলতানপুর এলাকার মোস্তফা তার মেয়ে শান্তনাকে দৌলতপুর উপজেলার রিফায়েতপুর এলাকার মিঠুর সঙ্গে বিয়ে দেন। তাদের চার বছরের একটি ছেলে রয়েছে। পারিবারিক কলহের জেরে দেড় বছর আগে স্বামীর বাড়ি ছেড়ে বাবার বাড়ি সুলতানপুর চলে আসেন শান্তনা। এর পর থেকে তিনি বাবার বাড়িতেই বসবাস করে আসছিলেন।

মঙ্গলবার সকালে পারিবারিক বিষয় নিয়ে মায়ের সঙ্গে শান্তনার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দুপুর ১২টার দিকে শান্তনা তার নিজ ঘরের আঁড়ার সঙ্গে রশি বেঁধে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। মেয়ের মৃত্যুর খবর শুনে বাবা মোস্তফা বাড়িতে এসে ঝুলন্ত অবস্থায় মেয়ের মরদেহ দেখে অসুস্থ হয়ে পড়েন।

স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠান। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মোস্তফা মারা যান।

মিরপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শুভ্র প্রকাশ বলেন, মেয়ের আত্মহত্যার খবর পেয়ে বাবা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখানে তার মৃত্যু হয়। খোঁজখবর নিয়ে ঘটনার তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর একই পৌরসভার নওপাড়া এলাকায় ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে একই পরিবারের মা, বাবা, ও মেয়ের স্ট্রোক করে মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটেছিল।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.