যে পৌরসভায় কখনোই জেতেনি আওয়ামী লীগ

স্বাধীনতার পর দিনাজপুর সদর পৌরসভায় নির্বাচন হয়েছে ১০ বার। কিন্তু কোনবারই জয় পাননি আওয়ামী লীগের প্রার্থী। বারবার পরাজয়ের কারণ হিসেবে দলীয় বিরোধকেই দেখছেন দলটির নেতারা। তবে এ বছর আওয়ামী লীগের দাবি, কোন্দল মিটে গেছে- এবার জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী তারা।

দিনাজপুর পৌরসভায় বিএনপি চারবার, স্বতন্ত্র পাঁচবার এবং ওয়ার্কার্স পার্টি একবার জয়ী হয়। আর প্রত্যেকবার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল আওয়ামী লীগ। ২০১১ সালে বিএনপির কাছে ১৫ হাজার ভোটে এবং ২০১৫ সালে একই প্রার্থীর কাছে ১৪ হাজার ভোটে হারে আওয়ামী লীগ।

দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারুকুজ্জামান চৌধুরী মাইকেল গণমাধ্যমকে বলেন, অতীতে নির্বাচনগুলোতে দলের কৌশলে ভুল ছিল। আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দল ও প্রার্থিতা নিয়ে বিরোধে জয়ী হতে পারিনি।

আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি তৈয়ব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ভোটারদের মন জয় করত পারিনি বলেই আমরা আগের নির্বাচনগুলোতে জিততে পারিনি। আমরা যদি এবার আন্তরিকতার সাথে নেই তাহলে নির্বাচনে বিজয় লাভ করতে পারবো।

বিএনপি থেকে টানা দুইবার নির্বাচিত বর্তমান মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম এবারও প্রার্থী। আওয়ামী লীগের প্রার্থী জেলা যুবলীগের সভাপতি রাশেদ পারভেজ। এছাড়া জাতীয় পার্টি, সিপিবি ও ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী আছে।

আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়রপ্রার্থী রাশেদ পারভেজ বলেন, এবার জেলা আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ। জনগণের দোরগোড়ায় আমি যেতে পেরেছি, ব্যাপক সাড়া দিচ্ছে জনগণ।স্বাধীনতার পরে এবার বিজয় হবে দিনাজপুরবাসীর, বিজয় হবে নৌকার।

বিএনপির মেয়রপ্রার্থী সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে প্রিজাইডিং অফিসারকে ভোটের ফলাফল নির্বাচনকেন্দ্রেই দিয়ে যেতে হবে।

প্রায় দেড়শো বছরের পুরনো প্রথম শ্রেণির এই পৌরসভায় ১২টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৬৪ জন এবং সংরক্ষিত পদে ১৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.