ভাস্কর্য বিরোধীরা পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসার পথ খুঁজছে

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ভাস্কর্য বিরোধীরা দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়। ওরা অন্য কিছু ইঙ্গিত করতে চায়। তারা জানে সামনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে পারবে না। তাই ভাস্কর্য বিরোধীরা পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসার জন্য পথ খুঁজছে।

সোমবার (১১ জানুয়ারি) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ জননেত্রী শেখ হাসিনা পরিষদ।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী মোজাম্মেল হক বলেন, যারা ভাস্কর্য ভাঙতে চায়, তারা কারা? তারা খোলাফায়ে রাশেদীনের আমলে চারজন খলিফার মধ্যে তিনজনকে হত্যা করেছিল। তারা বলেছিল যে, ইসলাম রক্ষার্থে। আসলে ইসলাম রক্ষার জন্য নয়, তারা খলিফাদের হত্যা করেছিল খেলাফত দখল করার জন্য। অর্থ্যাৎ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করার জন্য। পৃথিবীর মধ্যে ১৯টি মুসলিম দেশ রয়েছে। এরমধ্যে ১৮টি দেশে ভাস্কর্য রয়েছে। পৃথিবীর সমস্ত রাষ্ট্রে ভাস্কর্য আছে।

হাওয়া ভবনের কথা উল্লেখ করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী বলেন, ওরা শাসনের নামে হাওয়া ভবন তৈরি করে লুটপাট করে খেয়েছে। এমনকি জনগণের সম্পদ লুটপাট করে ক্ষান্ত হয়নি, এতিমের টাকাও লুটপাট করেছে। এতিমের টাকা লুটপাট করায় আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। জনগণের সম্পদ, গরিবের আমানত ওরা সবসময় খেয়ানত করেছে। তাদের কাছে আমানত রাখা কখনোই নিরাপদ নয়। আওয়ামী লীগকে দেশ থেকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা করেছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল।

সভায় ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু যদি ফিরে না আসতেন বিষয়ক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ড. মো. মাহামুদুর রহমান।

এ সময় পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. মনির খানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আখতার হোসেন, আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ প্রমুখ।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.