তুরাগ তীরে গড়ে উঠছে নতুন সিটি, পুনঃনির্মাণ হবে পুরান ঢাকা

ঢাকার অদূরে তুরাগ নদের তীরে নতুন সিটি গড়ে উঠবে। পাশাপাশি পুরান ঢাকাকে নতুনভাবে পুনঃনির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, তুরাগ নদীর তীরে পরিবেশসহ আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত একটি অত্যাধুনিক দৃষ্টিনন্দন শহর তৈরির লক্ষ্যে কাজ চলছে। এছাড়া পুরান ঢাকাকে নতুনভাবে পুনঃনির্মাণ করার মাধ্যমে এমনভাবে সাজানো হবে যেখানে সত্যিকার অর্থে দেখার মতো একটি শহর হবে। এটি করা হলে দেশের মানুষকে আর বিদেশে ভ্রমণ করতে হবে না, বরং বিদেশিরা ঢাকা শহর ভ্রমণ করতে আসবে।

আজ রোববার (১০ জানুয়ারি) বিকালে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস এবং ‘সবার ঢাকা অ্যাপ’ এর উদ্বোধন উপলক্ষে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

ঢাকা শহরের খালগুলোকে দখলমুক্ত করা হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, হাতিরঝিল থেকে বনানী, হাতিরঝিল থেকে ইউনাইটেড হাসপাতাল পর্যন্ত সংযোগ স্থাপন এবং অন্যান্য খালগুলোকে একটির সঙ্গে অন্যটির সংযোগ করা গেলে অবশ্যই আমাদের ঢাকা বিদেশের চেয়েও দৃষ্টিনন্দন হবে। এমন একটি শহরেরই স্বপ্ন দেখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর সে স্বপ্ন পূরণে আমরা সবাই নিরলসভাবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি।

দুই সিটি করপোরেশনে নতুন ওয়ার্ডগুলোতে নাগরিক সেবা সুনিশ্চিত করার জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এবং ভবিষ্যতে আরও দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণেই বঙ্গবন্ধুর গৃহীত উদ্যোগ ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সীমান্ত এবং সমুদ্র সীমানার সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হয়েছে। শেখ হাসিনার হাত ধরে ভারত এবং মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্র সীমানা সমস্যার সমাধান না হলে ভারত এবং মিয়ানমারকে ট্যাক্স না দিয়ে কোনো জাহাজ চট্টগ্রামে আসতে পারতো না।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ আজ ক্ষমতায় বলেই বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। দেশে আজ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনৈতিক ও সামাজিকসহ সব সূচকে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ বজলুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি বিশেষ অতিথি ছিলেন।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.