সাঈদ খোকনের বক্তব্যের জবাবে যা বললেন মেয়র তাপস

সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, কেউ যদি ব্যক্তিগত আক্রোশের বশবর্তী হয়ে কিছু বলে থাকেন, সেটার জবাব আমি দায়িত্বশীল পদে থেকে দেওয়াটা সমীচীন মনে করি না।

আজ রোববার (১০ জানুয়ারি) সকালে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

গতকাল শনিবার দুপুরে হাইকোর্ট এলাকায় কদম ফোয়ারার সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন নানা অভিযোগ তোলেন শেখ তাপসের বিরুদ্ধে।

গুলিস্তান এলাকায় দুটি মার্কেটে উচ্ছেদ অভিযানে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা পুনর্বাসনের দাবিতে ওই মানববন্ধনের আয়োজন করেছিলেন।

এ কর্মসূচিতে সংহতি জানাতে এসে সাঈদ খোকন অভিযোগ করে বলেন, ‘তাপস দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের শত শত কোটি টাকা তার নিজ মালিকানাধীন মধুমতি ব্যাংকের স্থানান্তরিত করেছেন এবং এই শত শত কোটি টাকা বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লাভ হিসেবে গ্রহণ করছেন। অন্যদিকে, অর্থের অভাবে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের গরিব কর্মচারীরা মাসের পর মাস বেতন পাচ্ছেন না। সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প অর্থের অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে।’

এ ধরনের কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে মেয়র সিটি করপোরেশন আইন ২০০৯, দ্বিতীয় ভাগের দ্বিতীয় অধ্যায়ের অনুচ্ছেদ ৯ (২) (জ) অনুযায়ী মেয়র পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন সাঈদ খোকন।

বর্তমান মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের নাম উল্লেখ না করেই তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের জবাব দিয়েছেন।

স্থানীয় সরকার আইন অনুযায়ী মেয়র পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন- এমন অভিযোগের জবাবে শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, এটা ওনার ব্যক্তিগত অভিমত। এটার কোনো গুরুত্ব বহন করে না।

কর্মীদের বেতন দিতে না পারার বিষয়ে ডিএসসিসির মেয়র বলেন, এটা ভ্রান্ত কথা। এমন বক্তব্যের বাস্তবিক কোনো ভিত্তি নেই।

সাঈদ খোকনের দুর্নীতি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। আপনি দায়িত্ব নেওয়ার এক বছরের মাথায় উল্টো আপনার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হলো- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, যদি কেউ উৎকোচ গ্রহণ করে, যদি কেউ ঘুষ গ্রহণ করে, যদি কেউ কোনো কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য কমিশন-বাণিজ্য করে, যদি কেউ সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে, বিল দেওয়ার জন্য কমিশন-বাণিজ্য করে, সরকারি প্রভাব কাজে লাগিয়ে কারও দিকে জিম্মি করে বা কোনো কিছু দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়, কিছু অর্থ নিয়ে থাকে, অর্থ আত্মসাৎ করে থাকে, সে ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়। যে অভিযোগ আনা হয়েছে, এটা কোনোভাবেই কোনো বস্তুনিষ্ঠ বক্তব্য না।

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস বিষয়ে শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, জাতির পিতা দেশে ফিরে না এলে স্বাধীনতা পূর্ণাঙ্গ রূপ পেত না। তাই আজকের এই দিনটা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ওনার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.