ঘুমহীন রাতে দ্রুত ঘুমিয়ে পড়ার কৌশল

ঘুম মানুষের জন্য খুবই জরুরী। পর্যাপ্ত ঘুমের কারণে মানুষ যেমন সতেজ থাকে তেমনই পর্যাপ্ত ঘুম না হলে সারাদিন কাজে অমনোযোগ, ঝিমুনি, মেজাজ খারাপ থাকা, সবকিছুতেই বিরক্তিবোধ করা এমনটাই হয়ে থাকে।

আবার রাতে ঘুম না হওয়ায় শরীরের উপরও বেশ প্রভাব ফেলছে। ত্বকের সমস্যাসহ দেখা দেয় শারীরিক বিভিন্ন জটিল সমস্যাও। জেনে নিন খুব সহজে আর তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ার কৌশল-

ঘর ঠাণ্ডা রাখুন

কোনো মানুষ যখন ঘুমোন তার শরীরের তাপমাত্রা কমে যায়। রুমের তাপমাত্রা বেশি থাকলে ঘুমের সমস্যা হয়। ১৫-১৯ ডিগ্রি তাপমাত্রা থাকলে ঘুম আসবে দ্রুত। ঘুমের আগে গরম পানিতে গোসল করলে ঘুম তাড়াতাড়ি আসবে। কারণ গরম পানিতে গোসল করার পর শরীরের তাপমাত্রা কমে যায়। শরীরের তাপমাত্রা কমলে আপনার মস্তিষ্কে সিগন্যাল যাবে ঘুমের।

রুটিন তৈরি করুন

ঘুমের নির্দিষ্ট রুটিন থাকলে ওইসময় দেখবেন ঘুম আসবে তাড়াতাড়ি। শরীরের রেগুলেটরি সিস্টেম আছে, যা শরীরকে অ্যালার্ট করে কখন কী করা উচিত। ঘুমের নির্দিষ্ট সময় থাকলে ওই সময় শরীর মস্তিষ্ককে অ্যালার্ট দেবে ঘুমানোর জন্য। প্রতিদিন ৭-৯ ঘণ্টা ঘুমানো দরকার। তাই একই সময়ে প্রতিদিন শুতে যান।

৪-৭-৮ পদ্ধতি

৪-৭-৮ নিশ্বাসের পদ্ধতি মানলে ঘুম আসবে তাড়াতাড়ি। এই পদ্ধতিতে প্রশান্তি পাবেন, ভালো ঘুমের জন্য শরীর রিল্যাক্স হওয়া দরকার। পদ্ধতিটি হচ্ছে – জিভের ডগা ওপরের দাঁতের পাটির পিছনে রাখুন। হুশ শব্দ করতে থাকুন। এরপর মুখ বন্ধ করে নাক দিয়ে শ্বাস নিন। মনে মনে ৪ পর্যন্ত কাউন্ট করুন। নিশ্বাস ছাড়বেন না। ৭ পর্যন্ত গোনার পর মুখ খুলে নিশ্বাস ছাড়ুন। এভাবে তিনবার করুন। এই পদ্ধতি শরীরকে রিল্যাক্স করবে এবং তাড়তাড়ি ঘুম আসবে।

ইওগা, মেডিটেশন

দুশ্চিন্তায় থাকলে ঘুম আসতে চায় না। তাই ভালো ঘুমের জন্য চিন্তা মুক্ত থাকতে হবে। আপনার চিন্তা কাটাতে পারে ইওগা, মেডিটেশন। ঘুমের কোয়ালিটি, ঘুমের সময়ের ওপর প্রভাব ফেলে ইওগা। মেডিটেশন মেলাটোনিনের স্তরকে বাড়িয়ে তুলতে পারে।

অর্থসূচক/ এইচএআই/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.