স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা: আদালতে আসামি দিহান

রাজধানীর কলাবাগানে মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় গ্রেফতার ইফতেখার ফারদিন দিহানকে আদালতে হাজির করা হয়েছে।

আজ (৮ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে তাকে হাজির করা হয়। এর আগে গতকাল (৭ জানুয়ারি) রাতে এ ঘটনায় কলাবাগান থানায় ওই শিক্ষার্থীর বাবা মো. আলামিন বাদী হয়ে মামলা করেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা আছে, ফারদিন ইফতেখার দিহান বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) দুপুর আনুমানিক ১২টার দিকে ওই স্কুলছাত্রীকে প্রেমে প্রলুব্ধ করে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে যায়। ৬৩/৪ লেক সার্কাস ডলফিনগলি পান্থপথ কলাবাগানের বাসায় নিয়ে যায় তাকে। এরপর ফাঁকা বাসায় মেয়েটিকে একা পেয়ে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের সময় শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণ রক্তক্ষরণের কারণে মেয়েটি অচেতন পড়ে। তখন বিবাদী ধর্ষণের বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রভাবিত করার জন্য মেয়েটিকে নিয়ে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যায়। সেখানে ভিকটিমের মৃত্যু হয়। সংবাদ পেয়ে কলাবাগান থানা পুলিশের একটি দল দ্রুত হাসপাতালে যায়। খবর পেয়ে তরুণটির তিন বন্ধু হাসপাতালে গেলে পুলিশ তাদেরও আটক করে পুলিশ। পরে চার জনকে কলাবাগান থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পুলিশ পরে স্কুলছাত্রীর লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠায়।

এদিকে পুলিশের এসি আবুল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক তরুণ দাবি করেছে, মেয়েটি তার পূর্বপরিচিত। বাসার সবাই ঢাকার বাইরে থাকার সুযোগে তাকে ডলফিন গলিতে তাদের ফ্ল্যাটে নিয়ে যান তিনি। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়। এরপরই মেয়েটি অচেতন হয়ে পড়লে তিনি তাকে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সুরতহাল প্রতিবেদনে মেয়েটির শরীরে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা বলেন, আমার ভালো মেয়েকে পরীক্ষার সাজেশন দেওয়ার কথা বলে বাসায় ডেকে নিল ওর বন্ধুরা। পরে আমাকে ফোন করে বলে, ‘আন্টি আপনার মেয়ে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে গেছে।’ পরে ওর বন্ধুরা আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে নিয়ে যায়। তারপর আমাকে ফোন দিয়ে জানায়, ‘আন্টি ও মারা গেছে।’ হাসপাতালে গিয়ে দেখি ওর প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। আমার ধারণা, মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। বাকিটা তদন্ত করে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। আমি এর বিচার চাই। আমার মেয়ের এ বছর ও লেভেল পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল।’

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.