রাজধানীতে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে মামলা

রাজধানীর কলাবাগান থানা এলাকায় একটি বাসায় ডেকে নিয়ে রাজধানীর একটি নামকরা ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ‘ও’ লেভেলের এক ছাত্রীকে (১৮) ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে একটি মামলা করা হয়েছে। ফারদিন ইফতেখার দিহান নামের এক তরুণকে আসামি করে গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মামলাটি করেন ওই ছাত্রীর বাবা।

আজ (৮ জানুয়ারি) কলাবাগান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আ ফ ম আসাদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘ওই শিক্ষার্থীর বন্ধু দিহানকে একমাত্র আসামি করে তাঁর বাবা বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। আমাদেরও ধারণা, তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এ ছাড়া আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকেও তেমন রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। কারণ, ধর্ষণের পর তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছিল। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।’

রাজধানীর কলাবাগান থানা এলাকায় একটি বাসায় ডেকে নিয়ে গতকাল ৭ জানুয়ারি ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। এদিকে নিউমার্কেট অঞ্চলের পুলিশ বলেছে, গতকাল দুপুরে ধানমন্ডির আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কলাবাগান থানায় ফোন করে জানায়, এক তরুণ এক কিশোরীকে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় এনেছেন। কিশোরীর শরীর থেকে রক্ত বের হচ্ছে। তখন নিউমার্কেট অঞ্চল পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার (এসি) আবুল হাসান ওই তরুণকে আটকে রাখতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেন। এরই মধ্যে কলাবাগান থানার পুলিশ আনোয়ার খান হাসপাতালে গিয়ে ওই তরুণকে আটক করে। খবর পেয়ে তরুণটির তিন বন্ধু হাসপাতালে গেলে পুলিশ তাঁদেরও আটক করে। নিহত ছাত্রী ও অভিযুক্ত ব্যক্তিরা শহরের নামী স্কুলের শিক্ষার্থী।

পুলিশের এসি আবুল হাসান বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে তানভীর ইফতেফার দিহান জানান, মেয়েটি তাঁর পূর্বপরিচিত। বাসার সবাই ঢাকার বাইরে থাকার সুযোগে তাকে ডলফিন গলির তাঁদের দ্বিতীয় তলার ফ্ল্যাটে নিয়ে যান তিনি। একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়। এরপরই মেয়েটি অচেতন হয়ে পড়লে তিনি তাকে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা বলেন, আমার ভালো মেয়েকে পরীক্ষার সাজেশন দেওয়ার কথা বলে বাসায় ডেকে নিল ওর বন্ধুরা। পরে আমাকে ফোন করে বলে, ‘আন্টি আপনার মেয়ে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে গেছে।’ পরে ওর বন্ধুরা আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে নিয়ে যায়। তারপর আমাকে ফোন দিয়ে জানায়, ‘আন্টি ও মারা গেছে।’ হাসপাতালে গিয়ে দেখি ওর প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। আমার ধারণা, মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। বাকিটা তদন্ত করে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। আমি এর বিচার চাই। আমার মেয়ের এ বছর ও লেভেল পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল।’

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.