হোয়াইটওয়াশ শ্রীলঙ্কা

দ্বিতীয় টেস্টে তৃতীয় দিনেই ১০ উইকেটে জিতে শ্রীলঙ্কাকে হোয়াইটওয়াশ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রোটিয়াদের দেয়া ১৪৫ রানের লিডের জবাবে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে সফরকারীরা ২১১ রানেই গুটিয়ে যায়। ফলে তৃতীয় দিনে জয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়োজন ছিল মাত্র ৬৭ রান।

ছোট লক্ষ্য তাঁড়া করতে নেমে শুরু থেকেই বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলতে থাকেন দক্ষিণ আফ্রিকার দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান এইডেন মার্করাম এবং ডিন এলগার। ফলে মাত্র ১৩.২ ওভারেই স্বাগতিকরা কোন উইকেট না হারিয়ে লক্ষ্য টপকে যায়। মার্করাম ৩৬ রানে এবং এলগার ৩১ রানে অপরাজিত থেকে দলকে দ্বিতীয় টেস্ট এবং সিরিজ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।

এদিকে ১৫০ রান এবং ৬ উইকেট হাতে নিয়ে দিন শুরু করা শ্রীলঙ্কা স্কোরবোর্ডে মাত্র ৬১ রান যোগ করতে পারে। অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে ১০৩ রানে এনরিক নর্কিয়ার শিকার হয়ে ফিরে গেলে জয়ের স্বপ্ন ফিঁকে হতে শুরু করে সফরকারীদের। অধিনায়ক ফিরে যাওয়ার ৫ রানের মাথায় দলকে বিপর্যয়ে ফেলে সাজঘরের পথ ধরেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান নিরোশান ডিকওয়েলা। তিনি ৩৮ রান করে লুঙ্গি এনগিডির বলে টেম্বা বাভুমার ক্যাচ হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন। যার কারণে দিনের প্রথম ঘণ্টায় দলীয় ১৮১ রানের মাথায় ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে শ্রীলঙ্কা। ডিকওয়েলা ফিরে যাওয়ার পর কোন লঙ্কান ব্যাটসম্যানই আর দলের হাল ধরতে পারেননি। একমাত্র ওয়ানান্দু হাসারাঙ্গা বলার মত রান করতে পারেন।

লুথো সিপামলার বলে বোল্ড হবার আগে তাঁর ব্যাট থেকে আসে ১৬ রান। আর দাসুন শানাকার করেন ৮ রান। এরপর শ্রীলঙ্কার ইনিংসের শেষ দিকে সিপামলা জোড়া আঘাত হানলে ২১১ রানেই অলআউট হয়ে যায় করুনারত্নের দল। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে এনগিডি সর্বোচ্চ ৪টি, সিপামলা ৩টি এবং নর্কিয়া ২টি উইকেট শিকার করেন।

তৃতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে টস জিতে ব্যাট করতে নামে শ্রীলঙ্কা। জোহানেসবার্গের গতিময় উইকেটে আর নরকিয়ার গতিময় বোলিংয়ে মাত্র ১৫৭ রানে ১০ উইকেট হারিয়ে ফেলে তাঁরা। কুশাল পেরেরার ৬০, হাসারাঙ্গা ২৯ এবং দুসমান্থা চামারার ২২ রান করেন। প্রোটিয়া বোলার নর্কিয়া একাই ৬ উইকেট শিকার করেন। এছাড়াও উইয়ান মুলডার ৩ টি এবং সিপামলা ১ টি উইকেট শিকার করেন।

১৫৭ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা ৩০২ রানে অলআউট হয়ে গেলে প্রথম ইনিংস শেষে ১৪৫ রানের লিড পায় স্বাগতিকরা। তাদের হয়ে এলগার ১২৭ এবং রসি ভ্যান ডার ডাসেনের ব্যাট থেকে আসে ৬৭ রান। শ্রীলঙ্কার হয়ে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মত ৫ উইকেট শিকার করেন বিশ্ব ফার্নান্দো। আশিথা ফার্নান্দো এবং শানাকা ২ টি করে উইকেট নেন।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.