বারবার প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোয় ক্ষুব্ধ প্রধানমন্ত্রী

বারবার প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোয় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিরক্তি প্রকাশ করে তিনি বলেন, এটা গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের প্রকল্প আমরা গ্রহণ করবো না।

আজ মঙ্গলবার (০৫ জানুয়ারি) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন প্রকল্পের দ্বিতীয় সংশোধিত প্রস্তাব তোলা হলে প্রধানমন্ত্রী ওই প্রকল্পের মেয়াদ বারবার বাড়ানোর কারণে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেন।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালে কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন প্রকল্প একনেকে অনুমোদন দেওয়া হয়। ২৭৫ কোটি ৪৩ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে প্রকল্পটি ২০১২ সালের জানুয়ারি হতে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে বাস্তবায়নের লক্ষ্য ধরা হয়। কিন্তু সময় মতো শেষ করতে না পারায় এক বছর পর আরও দুই বছর মেয়াদ বাড়ানো হয়। এরপর ২০১৬ সালে প্রকল্পটি সংশোধন করে ৬১১ কোটি টাকা প্রাক্কলন ব্যয় করার পাশাপাশি বাস্তবায়নের মেয়াদ ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধির প্রস্তাব একনেক অনুমোদন দেয়। কিন্তু তাতেও কাজ শেষ না হওয়ায় মঙ্গলবারের বৈঠকে প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়। প্রকল্পের ব্যয়ও বাড়িয়ে ৬৮২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা প্রস্তাব করা হয়। কিন্তু একনেক তাতে সায় দেয়নি।

এ বিষয়টি জানিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের প্রকল্পের অগ্রগতিতে প্রধানমন্ত্রী অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। তিনি বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। বলেছেন, ‘এটা গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের প্রকল্প আমরা গ্রহণ করবো না।’ তিনি বিষয়টি আইএমইডিকে দিয়ে তাৎক্ষণিক তদন্ত করতে নির্দেশনা দিয়েছেন। আদ্যোপান্ত পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলেছেন। আমরা শিগগিরই এটি তদন্ত করবো।

এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) আবুল কালাম আজাদ বলেন, এই প্রকল্পটি অনুমোদন হয়নি। বরং তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুই বছরের প্রকল্পে আট বছরে মাত্র ৫০ শতাংশ কাজ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। বিশদ আলোচনার পর বৈঠকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে— কেন এই দীর্ঘ মেয়াদে প্রকল্প কাজ করতে পারছে না তা তদন্ত করতে।

তিনি জানান, এ প্রকল্পে ২০১৮ সালে একটি অনিয়ম হয়েছিল। পরে প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসনে তদন্ত হয়। এতে কয়েকজন কর্মকর্তা চাকরিচ্যুত হয় বলে আমরা শুনেছি।

কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ স্থাপন প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও বাস্তবায়ন হয়েছে মাত্র ৫৫ শতাংশ। আর্থিক অগ্রগতি ৩৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.