ইউরেনিয়াম মজুত বাড়ালো ইরান

ট্রাম্প সরকার বিদায়ের আগে ইরানের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক আরও তলানিতে গিয়ে ঠেকল। সোমবার (৪ জানুয়ারি) থেকে ইরান ২০ শতাংশ অতিরিক্ত ইউরেনিয়াম মজুত করতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির সরকারি মুখপাত্র আলি রাবেই। এর ফলে পরমাণু অস্ত্র তৈরিতে আর কোনো সমস্যা থাকল না ইরানের।

সমস্যার সূত্রপাত এক বছর আগে। ইরানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি হত্যা করা হয়েছিল। এই হত্যার পিছনে আমেরিকা এবং ইসরায়েলের হাত ছিল। শুধু তাই নয়, ইরানের তদন্ত কমিটির বক্তব্য, জার্মানিসহ বিশ্বের বহু দেশ এই হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রে জড়িত। ওই হত্যাকাণ্ডের পরেই ইরান ঘোষণা করেছিল, তারা বদলা নেবে। মাসখানেক আগে আরও একটি হত্যাকাণ্ড ঘটে। অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে স্বয়ংক্রিয় মেশিনগানের সাহায্যে হত্যা করা হয় ইরানের পরমাণু বিজ্ঞানীকে। ওই ঘটনাতেও ইসরায়েল এবং আমেরিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে ইরান। এর কিছুদিনের মধ্যেই ইরানের পার্লামেন্ট একটি নতুন আইন করে। যেখানে বলা হয়, ইরান এবার ২০ শতাংশ ইউরেনিয়াম মজুত করতে পারবে। এছাড়া জাতিসংঘের সংস্থাকে পরমাণু কেন্দ্র দেখতে দেওয়া হবে না।

সোমবার থেকে আইন মেনে ইউরেনিয়ামের মজুত শুরু হলো। এর আগেও একবার ইরান এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তার পরেই রাতারাতি ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি করা হয়েছিল। ২০১৮ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্প সেই চুক্তি থেকে আমেরিকাকে সরিয়ে নেন। ইরানের উপর একাধিক নিষেধাজ্ঞাও জারি করেন। তারপর থেকেই নতুন করে আমেরিকার সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক উদ্বেগজনক হতে শুরু করে।

সোমবার ইরানের সরকারি মুখপাত্র জানিয়েছেন, মাটির নীচে গোপন পরমাণু কেন্দ্রে নতুন করে ইউরেনিয়ামের মজুত শুরু হয়েছে। এর ফলে পরমাণু অস্ত্র তৈরিতে আর কোনো সমস্যা থাকল না। সূত্র: রয়টার্স, এপি

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.