ভ্যাকসিন রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা নেই: বিবিসিকে সিরাম

ভারতে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা ভাইরাসের টিকা (ভ্যাকসিন) উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সিরাম ইন্সটিটিউট জানিয়েছে, তাদের টিকা রফতানির ওপর কোন নিষেধাজ্ঞা নেই।

আজ সোমবার (০৪ জানুয়ারি) বিকেলে বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

সিরাম ইন্সটিটিউটের জনসংযোগ কর্মকর্তা মায়াঙ্ক সেন জানিয়েছেন, টিকা রফতানিতে নিষেধাজ্ঞার যে খবর প্রকাশিত হয়েছে, তা পুরোপুরি সঠিক নয়। কারণ তাদের টিকা রফতানির ওপর কোন নিষেধাজ্ঞা নেই।

প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, অন্য দেশে টিকা রফতানির অনুমতিই পায়নি তারা। সেখানে নিষেধাজ্ঞার কোনো প্রশ্নই নেই।

বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়েছে, তবে কোম্পানিটি এখন অন্য দেশে টিকা রফতানির অনুমতি পাওয়ার প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে, যা পেতে কয়েকমাস পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে। রফতানি শুরুর আগেই ভারত সরকারকে ১০ কোটি টিকা দেওয়ার বিষয়ে সম্মত হয়েছে। কিন্তু এই মুহূর্তে তারা রফতানি করতে পারবে না, যেহেতু তাদের রফতানির অনুমতি নেই।

উল্লেখ্য, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত টিকা ভারতে তৈরি করছে দেশটির সিরাম ইনস্টিটিউট। গত ১৩ ডিসেম্বর ওই টিকা কেনার জন্য সরকার সিরাম ইনস্টিটিউট ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের সঙ্গে চুক্তি করে।

ওই চুক্তি অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে শুরু করে পরবর্তী ছয় মাসে ৫০ লাখ করে মোট ৩ কোটি টিকা পাওয়ার কথা বাংলাদেশের।

তবে সোমবারই সিরামের পক্ষ থেকে বলা হয়, আগামী দুই মাসে তারা আগে স্থানীয় চাহিদা মেটাবে। এরপরই আগ্রহী দেশগুলোয় টিকা রফতানি করা হবে। এরপরই বাংলাদেশের টিকা পাওয়া নিয়ে শঙ্কার কথা শোনা যায়।

তবে এ বিষয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ঢাকায় দিল্লির হাইকমিশন এবং দিল্লিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সোমবার সকাল থেকেই যোগাযোগ করা হয়।

দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল মান্নান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, টিকার ব্যাপারে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যেহেতু জিটুজি (সরকারের সঙ্গে সরকারের) চুক্তি হয়েছে, সে কারণে যথাসময়ে টিকা পেতে কোনো সমস্যা হবে না।

ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনারের সঙ্গে কথা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভারত যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, সেটা তাদের বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে, আমাদের ব্যাপারে না। হাইকমিশন থেকে এটা পরিষ্কার করে দিয়েছে।

জরুরি সংবাদ সম্মেলনে যোগ দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকও। তিনিও বলেন, এটা কোনো সমস্যা হবে না, সমাধান হয়ে যাবে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.