চুক্তি অনুযায়ী ঠিক সময়ে ভ্যাকসিন পাব: বেক্সিমকো

ত্রিপক্ষীয় চুক্তি অনুযায়ী ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে ঠিক সময়েই বাংলাদেশ কোভিড-১৯–এর ভ্যাকসিন পাবে বলে জানিয়েছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস।

আজ সোমবার (০৪ জানুয়ারি) দুপুরে প্রতিষ্ঠানটির চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) রাব্বুর রেজা গণমাধ্যমকে বলেন, বাংলাদেশ সরকার, বেক্সিমকো ও সিরাম ইনস্টিটিউটের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়েছে। সেই চুক্তিতে উল্লেখ রয়েছে, স্থানীয় অনুমোদনের পর (বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদন) সিরাম ইনস্টিটিউট এক মাসের মধ্যেই প্রথম ধাপের ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে।

যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ওষুধ কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনার ভ্যাকসিন ভারতে উৎপাদন করছে সিরাম ইনস্টিটিউট। অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার এই ভ্যাকসিন সিরাম তৈরি করবে ‘কোভিশিল্ড’ নামে। ওই টিকা কেনার জন্য সরকার গত ১৩ ডিসেম্বর সিরাম ইনস্টিটিউট ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের সঙ্গে চুক্তি করে। ওই চুক্তি অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে শুরু করে পরবর্তী ছয় মাসে ৫০ লাখ করে মোট তিন কোটি ভ্যাকসিন পাওয়ার কথা বাংলাদেশের।

ভারতের ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই) গতকাল রোববার সিরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড এবং ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিনের জরুরি ব্যবহারের অনুমোদনের দেয়। ভারতের এই উদ্যোগ বাংলাদেশের ভ্যাকসিন প্রাপ্তিতে সহায়তা করবে মনে করা হচ্ছিল।

তবে গতকাল ও আজ রয়টার্স, এপিসহ বিভিন্ন বার্তা সংস্থা ও একাধিক ভারতীয় গণমাধ্যমে সিরামের প্রধান নির্বাহী আদর পুনাওয়ালার সাক্ষাৎকার প্রকাশের পর বাংলাদেশের দ্রুত ভ্যাকসিন পাওয়া নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়।

গতকাল রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট (এসআইআই) বলেছে, তারা আগামী দুই মাসে ভারতে স্থানীয় চাহিদা পূরণ করবে। তারপরই রপ্তানির উদ্যোগ নেবে তারা। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী আদর পুনাওয়ালা গতকাল এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান। তিনি বলেন, ভারতের সরকারকে প্রাথমিকভাবে ১০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন সরবরাহের পরই রপ্তানি করা সম্ভব হতে পারে।

ওই সাক্ষাৎকারের বিষয়ে বেক্সিমকোর সিওও রাব্বুর রেজা আজ বলেন, আমার মনে হয়েছে, এটা জেনারেলাইজড একটা কথা। যেকোনো দেশই তাদের নাগরিকদের প্রথম প্রাধান্য দেয়। কিন্তু এর ফলে আমাদের সঙ্গে করা কোনো চুক্তির বরখেলাপ হবে না।

আজও সিরামের সঙ্গে তাদের কথা হয়েছে জানিয়ে রাব্বুর রেজা বলেন, আমরা ছয় মাসে তিন কোটি ডোজের চুক্তি করেছি। সিরাম ইতিমধ্যেই পাঁচ কোটি ডোজ বানিয়ে ফেলেছে। তাদের চাহিদার তুলনায় আমাদের চাহিদা সামান্য। সে ক্ষেত্রে ভ্যাকসিন প্রাপ্তিতে কোনো অসুবিধা হবে না।

রাব্বুর রেজা বলেন, আমরা যথাসময়েই ভ্যাকসিন পাব বলে আশা করছি। আমরা তাদের (সিরাম) সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.