‘করোনা মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী জাতিকে সংগঠিত করতে পেরেছেন’

করোনা মহামারি বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জের হলেও তা যথাযথ ভাবে মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিকে সংগঠিত করতে পেরেছেন বলে মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার দূর দৃষ্টির মাধ্যমে প্রতিটা ক্ষেত্রে কোথায় কি অভাব রয়েছে তা পয়েন্ট আউট করতে পেরেছেন এবং তার এডভাইস অনুযায়ী আমরা তা করতে পেরেছি বলে মাথা তুলে দাঁড়াতে পেরেছি। তাই কোভিড নাইন্টিন আমাদের উপর সেভাবে প্রভাব ফেলতে পারেনি।

আজ সোমবার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে জেএমআই হসপিটাল রিকুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের কেএন-৯৫ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, করোনা মহামারির মধ্যেও আমরা ইকোনমিক ইনকামের দিক দিয়ে পথ হারাইনি। নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও আমরা কোন ভুল কাজ করিনি, আমাদের সব কিছুই চলেছে। করোনা মোকাবেলায় প্রথম থেকেই জেএমআই গ্রুপ কাজ করেছে উল্লেখ করে কামাল বলেন, দেশে প্রথম কেএন-৯৫ মাস্ক তৈরি জেএমআই গ্রুপ সফল হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা আগে খাদ্যশস্য ইমপোর্ট করতাম, এখন আমাদের আর ইমপোর্ট করতে হয় না। আমরা সব দিকেই এগিয়ে চলছি। আর এখন আমরা ওষুধও রপ্তানি করি যেটা কোনদিনও কল্পনা করতে পারতাম না। বর্তমানে বাংলাদেশ ঘুড়ে দাঁড়িয়েছে, এগিয়ে যাচ্ছে। খুব শিগ্রই আমরা উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবো।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি অতিথির বক্তব্যে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি প্রফেসর ইকবাল আর্সলান বলেন, আজকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দূর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে। বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে যারা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তাদের মধ্যে জেএমআই অন্যতম একটি প্রতিষ্ঠান।

অনুষ্ঠানে জেএমআই গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুর রাজ্জাক কেএন৯৫ মাস্কের বিষয়ে বলেন, এই মাস্কটিতে তিন স্তরের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ফিল্টার পেপারসহ মোট ৫টি সুরক্ষা স্তর রয়েছে। মাস্কটি ইতোমধ্যে দেশ ও বিদেশের পরীক্ষাগারে মাস্কের মান ও যোগ্যতা পরীক্ষা করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে জেএমআই গ্রুপের চেয়ারম্যান জাবেদ ইকবাল পাঠান বলেন, করোনাকালে জেএমআই গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ডিএনএ সল্যুশনের ল্যাবের আরটিএ মেশিনে প্রায় ১০ হাজার পুলিশ সদস্যের করোনা পরিক্ষা করা হয়েছে। আবার সরবরাহ করা হয়েছে কোভিড চিকিৎসার ওষুধপত্র। এই ল্যাবে করোনার জিনম সিকোয়েন্স করেছেন বেশ কয়েকজন গবেষক ও শিক্ষক, যারা ইতোমধ্যে ভাইরাসের গতিপ্রকৃতির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চিহ্নিত করতে পেরেছেন।

তিনি বলেন, গত বছরের এপ্রিলের পর দেশে যখন করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃত্যুর হার বাড়তে শুরু করেছিল, তখন আন্তর্জাতিক মানের ফেস মাস্কসহ নানা সরঞ্জাম তৈরি করে আমরা সরকারকে সহায়তা দেই। যা ওই দুঃসময়ে দেশের অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের পক্ষে দেয়া সম্ভব ছিল না।

অর্থসূচক/এনএইচ/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.