প্রথমদিনেই ব্যাকফুটে শ্রীলঙ্কা

অ্যানরিক নরকিয়ার দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানরা। মাত্র ৫৬ রানে ৬ উইকেট নিয়ে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং লাইনআপকে একাই ধসিয়ে দিয়েছেন এই পেসার। তাঁর সঙ্গে জুটি বেধে দারুণ বোলিং করেছেন আরেক পেসার উইয়ান মুলডার। ২৫ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন মুলডার।

তাঁদের দুজনের বোলিং তোপে প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৫৭ রানেই গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। বোলিংয়ে নরকিয়াদের দাপটের পর ব্যাট হাতে আধিপত্য দেখিয়েছেন ডিন এলগার ও রাসি ভ্যান ডার ডুসেন। সফরকারীদের থেকে মাত্র ৯ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় দিন শুরু করবে স্বাগতিকরা। ৯২ রানে অপরাজিত আছেন এলগার এবং ৪০ রানে অপরাজিত ডুসেন।

সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা আশানুরূপ করতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। ৩২ বলে মাত্র ২ রান করে নরকিয়ার বলে সাজঘরে ফিরেন অধিনায়ক দিমুথ করুনারাত্নে। এরপর অবশ্য লাহিরু থিরিমান্নেকে নিয়ে জুটি গড়েন ওপেনার কুশাল পেরেরা। তবে সেখানে বাঁধা হয়ে দাঁড়ান তরুণ পেসার মুলডার।

ওয়ানডে মেজাজে খেলতে থাকা পেরেরাকে ফিরিয়ে নিজের প্রথম উইকেট তুলে নেন ডানহাতি এই পেসার। এরপর একে একে ফিরিয়েছেন থিরিমান্নে, কুশল মেন্ডিসকে। মুলডার যেখানে শেষ করেছিলেন ঠিক সেখান থেকেই শুরু করেছিলেন নরকিয়া। ৮০ রানে ৪ উইকেট হারানো শ্রীলঙ্কাকে রীতিমত চেপে ধরেন নরকিয়া। তাঁর দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে কোনো প্রতিরোধই গড়তে পারেননি মিনদ ভানুকা, দাসুন শানাকা এবং নিরোশান ডিকয়েলারা। শেষ দিনে অবশ্য জুটি গড়েছিলেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও দুশমন্থ চামিরা। তাদের দুজনের ৩৯ রানের জুটির পরও খুব বেশি দুর যেতে পারেনি লঙ্কানরা। শেষ পর্যন্ত সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রানে থামে তারা।

শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংসে করা ১৫৭ রানে জবাব দিতে নেমে শুরুটা অবশ্য খুব ভালো করতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। ৫ রান করে অ্যাইডেন মার্কাম বিদায় নিলেও দলকে কক্ষপথে রাখেন এলগার ও ডুসেন। তাদের দুজনের অনবদ্য জুটিতে ১ উইকেট ১৪৮ রানে প্রথম দিনশেষ করে স্বাগতিকরা। লঙ্কানদের হয়ে একমাত্র উইকেটটি নিয়েছেন আশিথা ফার্নান্দো।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.