করোনা আইন: ফ্রান্স ও ইতালিতে ব্যাপক বিক্ষোভ

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মোকাবেলার জন্য ফ্রান্স এবং ইতালিতে যে নতুন আইন পাস করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ করেছে দেশ দুটির জনগণ। সাধারণ জনগণের জন্য স্বাস্থ্য পাস এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য বাধ্যতামূলক শিক্ষা গ্রহণের আইন পাসের বিরুদ্ধে ফ্রান্সের রাজপথে লাখ লাখ মানুষ বিক্ষোভ করেছেন।

ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে অন্তত ১৭ হাজার মানুষ এবং নিস শহরে ১০ থেকে ২০ হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেন। এই বিক্ষোভ সমাবেশে ইয়েলো ভেস্ট বা হলুদ পোশাকধারী বিক্ষোভকারীরা অংশ নিলেও তা ছিল শান্তিপূর্ণ। তবে ফ্রান্সের তৃতীয় বৃহত্তম শহর লিয়নে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে।

ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গতকাল সারা দেশের বিভিন্ন শহরে দুই লাখ ৩৭ হাজার মানুষ করোনা আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন। ফ্রান্সের উত্তরাঞ্চলীয় ক্যামব্রাই শহরে করোনা আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর জন্য প্রায় সমস্ত রেস্টুরেন্ট এবং ক্যাফে বন্ধ রাখা হয়।

সরকারি কর্মকর্তারা বারবার বলছেন, করোনাভাইরাসের মহামারি ঠেকাতে হলে এই আইন বাস্তবায়ন করা দরকার। ফ্রান্সে বর্তমানে করোনাভাইরাসের চতুর্থ ঢেউ চলছে। দেশটিতে এ পর্যন্ত শতকরা ৫৫ ভাগের বেশি মানুষ পরিপূর্ণভাবে টিকার আওতায় এসেছেন।

ফ্রান্সের নতুন আইনের আওতায় ঘরোয়া অনুষ্ঠানেও অংশগ্রহণের জন্য স্বাস্থ্য পাস লাগবে যাতে প্রমাণ হবে যে, তারা টিকা নিয়েছেন। এছাড়া, আগামীকাল থেকে যেসব মানুষ বার, রেস্টুরেন্ট অথবা দীর্ঘ পাল্লার রেল কিংবা বিমান ভ্রমণ করতে চান তাদেরকেও স্বাস্থ্য পাস দেখাতে হবে।

একই ধরনের বিক্ষোভ-প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হয়েছে ইতালির রাজধানী রোম এবং মিলান শহরে। ইতালি সরকার নাগরিকদের জন্য যে গ্রিন পাস বাধ্যতামূলক করেছে তার মাধ্যমে একথা প্রমাণ হবে যে, এর বাহক করোনাভাইরাসের অন্তত এক ডোজ টিকা নিয়েছেন, অথবা তিনি গত ছয় মাসের মধ্যে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছে অথবা গত ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ হয়েছেন। আগামী শুক্রবার থেকে ইতালিতে এই আইন কার্যকর হবে এবং স্বাস্থ্য পাস ছাড়া দেশের নাগরিকরা জাদুঘর, স্টেডিয়াম, মুভি থিয়েটার কিংবা রেস্টুরেন্টে ঢুকতে পারবেন না।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.