সেন্টমার্টিনে আটকা পর্যটকরা ফিরছেন

বৈরী আবহাওয়ায় সাগর উত্তাল থাকায় দুই দিন সেন্টমার্টিনে আটকে পড়েন তিন শতাধিক পর্যটক টেকনাফে ফিরছেন। মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) সকালে একে একে ১৪টি ট্রলারে করে সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফের উদ্দেশ্যে রওনা দেন পর্যটকরা। এর মধ্যে বেলা ১১টায় ৮০ জনের যাত্রীবাহী দুটি ট্রলার পৌরসভার কায়ুকখালী ঘাটে পৌঁছায়।

সেন্টমার্টিন কোস্ট গার্ড স্টেশন কর্মকর্তা লে. তারেক আহমেদ জানান, আবহাওয়া কিছুটা ভালো থাকায় মঙ্গলবার সকাল থেকে দ্বীপে আটকে পড়া পর্যটকরা ফিরতে শুরু করেছেন। এর আগে নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় ভ্রমণে এসে আটকে পড়েন তারা। তবে পর্যটকরা যাতে ঠিকমতো টেকনাফ পৌঁছান, সে ব্যাপারে খোঁজ-খবর রাখা হচ্ছে।

সেন্টমার্টিন বোট মালিক সমিটির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম জানান, মঙ্গলবার সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ১৪টি ট্রলারে ৪০০ মানুষ সেন্টমার্টিন ত্যাগ করেছেন। তার মধ্যে ৩০০ জন পর্যটক। তারা বৈরী আবহাওয়ার কারণে দ্বীপে দুই দিন আটকা পড়েছিলেন।

এদিকে বৈরী পরিবেশেও সেন্টমার্টিনের হোটেল-রিসোর্ট মালিকদের কাছ থেকে কোনও সহযোগিতা পাননি বলে অভিযোগ করেছেন আটকে পড়া পর্যটকরা। আটকে পড়া এক পর্যটক জানান, ‌‘পাঁচ বন্ধু কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন গিয়ে আটকে পড়ি। আমাদের প্ল্যান ছিল গত রোববার সেন্টমার্টিন থেকে ফিরবো। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারণে দুই দিন বেশি থাকতে হয়েছে। এই দিনে আমরা রিসোর্টে ছিলাম। কিন্তু সেখানে কোনও রিসোর্ট কিংবা খাবার হোটেলে ছাড় পাইনি। এ সময়ে কেউ আমাদের খোঁজ নিতে আসেনি। প্রতিবার দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় সেন্টমার্টিনের মানুষ পর্যটকদের সাধ্যমতো সহযোগিতা করে। কিন্তু এবার কেন এ ধরনের ব্যবহার করা হলো, বুঝতে পারছি না।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ পারভেজ চৌধরী জানান, আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ায় সেন্টমার্টিনে ভ্রমণে এসে আটকে পড়া পর্যটকরা ফিরছেন। তাদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয় সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.