বিশ্বকাপ ফুটবলের আগামি আসর বসবে ব্রাজিলে,২০১৪ সালে। আয়োজক হিসেবে দেশটির আবেগ ও স্বপ্নের শেষ নেই।বিশ্বের ফুটবলমোদিদের কাছেও এ বিশ্বকাপ বেশ তাৎপযময়।কারণ পেলে,জিকো,রোমারিও ও রোনাল্ডোর দেশে বিশ্বকাপ।বিশ্ব ফুটবলের জৌলুসময় এ প্রতিযোগিতার জন্য এর চেয়ে উপযোগী জায়গা আর হতেই পারে না।
ব্রাজিলের ১২টি শহরে স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপের খেলা।কিন্তু এ বিশ্বকাপ ফুটবল দেখতে যেসবফুটবলপ্রেমী ব্রাজিলে যেতে চান তারা ডেঙ্গুজ্বরের কবলে পড়তে পারে–মন সতর্কবানী দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসকরা।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর সাইমন হে জানিয়েছেন,ব্রাজিলে বিশ্বকাপ ফুটবল অনুষ্ঠিত ১২ টা শহরের মধ্যে ৩ টি শহরে ডেঙ্গু মশার উপদ্রপ বেড়ে যাওয়ায় সিজনাল এ রোগ বিস্তার লাভ করতে পারে বলে তারা এ আশংকা করছেন ।
তিনি বলেন, ডেঙ্গু একটি ভাইরাসজনিত জ্বর। ভাইরাসজনিত অন্যান্য রোগের মতো এরও কোনও প্রতিষেধক বা টিকা নেই। মশাদের কামড় এড়িয়ে চলাই এ রোগ প্রতিরোধের অন্যতম উপায়। ডেঙ্গু জ্বর হলে সেক্ষেত্রে তিনি রোগীদের দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শও দেন। ব্রাজিলের শহর ও নগরে কিছু কিছু স্থানে ডেঙ্গু মশার উপদ্রব বেড়ে যাওয়ার এ রোগ বিস্তার ঘটে থাকে ।
যেসব স্টেডিয়ামে খেলা অনুষ্ঠিত হবে সেসব অঞ্চলে ডেঙ্গুর উপদ্রব কতটা ভয়াবহ-তার উপর একটি গবেষণা পরিচালনা করেছেন প্রফেসর সাইমন হে ও তার এর গবেষক দল। তারা গবেষণায় দেখেছেন,দেশটির উত্তর ও দক্ষিণভাগে তিন শহরে অবস্থিত স্টেডিয়ামগুলোর আশেপাশ এলাকায় ডেঙ্গু মশার উপদ্রব তুলনামূলকভাবে বেশি ।
ন্যাচার নামক এক সাময়িকীতে প্রফেসর হে জানান, বিশ্বকাপ ফুটবলের আর বেশি দেরি নেই। তাই খেলা শুরু হওয়ার আগেই যত দ্রুত সম্ভব ডেঙ্গু মশা কমানোর জন্য প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।
এসএম শাহিন