পিঠা ভাগাভাগির মতো আসন ভাগাভাগির নির্বাচন জনগণ মেনে নেবে না বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।৫২ শতাংশ ভোটারকে বাদ দিয়ে প্রহসনের নির্বাচন প্রতিহত করা বিরোধী দলের দায়িত্ব বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিএনপির গুলশানের কার্যালয়ে ১ম দিনের অবরোধ চিত্র তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, সরকার সারাদেশে যৌথ বাহিনীর অভিযানের নামে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের হত্যা ও গুম করছে। গত তিনদিনে নোয়াখালী,লক্ষীপুর, সাতক্ষীরা, জয়পুর হাট ও লালমনির হাটে ২৫ জনের বেশি লোককে হত্যা করা হয়েছে, নিখোঁজ রয়েছেন বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী। বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের দমানোর কাজে যৌথবাহিনীর সাথে সরকারদলীয় ক্যাডাররা ১৮ দলীয় জোটের নেতা কর্মীদের বাড়ি-ঘরে হামলা করছে। বিএনপির তথ্য সম্পাদককে তার বাসা থেকে র্যাব পরিচয়ে তুলে নিলেও তার কোনো সন্ধান দেওয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
বৃটেন ও আমেরিকার কংগ্রেসে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অবস্থা নিয়ে কাউন্সিল হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি দুঃখজনক ব্যাপার। সরকার দেশের সহিংস অবস্থা সমাধানের শান্তিপূর্ণ ব্যবস্থা না নিলে তা বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করবে বলে জানান তিনি।
নির্বাচন কমিশনকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মতামতকে উপেক্ষা করে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ঘোষণা করার নাটক সাজিয়ে দেশকে অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে তারা। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে যে সহিংস পরিস্থিতির হচ্ছে তার দায়ভার কমিশনকে নিতে হবে বলে জানান তিনি।
‘দশম জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আলোচনা সম্ভব নয়, আলোচনা হতে পারে একাদশ নির্বাচন নিয়ে’ ওবায়েদুল কাদেরের এমন বক্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, এটি চলমান আলোচনাকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তিনি যে বক্তৃতা দিয়েছেন তা প্রমাণ করে সরকার জোরপূর্বক নির্বাচনে করে দেশে একদলীয় বাকশালী শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল বাতিল করে এবং হত্যা, গুম, নির্যাতন ও বিরোধীদলের নেতা-কর্মীদের বাড়ি-ঘরে হামলা বন্ধ করে অবিলম্বে আলোচনার মাধ্যামে শান্তিপূর্ণ সমাধানে সরকারকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
নয়ন/এআর