পাকিস্তানে বন্দি অবস্থায় থাকতে হচ্ছে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের। সার্বক্ষণিক নিরাপত্তাকর্মীরা আছেন ক্রিকেটারদের নজরদারিতে। মাঠ থেকে হোটেল আবার হোটেল থেকে মাঠ, এমন করেই সিরিজ শেষ করতে হবে বাংলাদেশ দলকে। মাঠে আসা-যাওয়ার মাঝেও ক্রিকেটারদের সঙ্গে থাকবেন অস্ত্রসজ্জিত সামরিক বাহিনীর সদস্যরা।
অবশ্য এই বন্দিদশার ইতিবাচক দিক তুলে ধরে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ বলেন, এটা এক দিক থেকে ইতিবাচক হতে পারে। কারণ আপনি সতীর্থদের সঙ্গে অনেক সময় কাটাতে পারবেন। এটা আমার কাছে মনে হয় এক দিক থেকে ইতিবাচকই।
পাকিস্তান সফরের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার পর থেকেই নিরাপত্তা শঙ্কার কথা মনের কাছেও আনছেন না বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। শুধুমাত্র খেলা নিয়েই ভাবছেন তাঁরা। কারণ এমন পরিবেশে থাকতে হবে জেনেই পাকিস্তানে এসেছে দল, জানিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ।
আজ (২৩ জানুয়ারি) ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমি যেটা প্রথমে বললাম, যখন আমরা বিমানে উঠি, যখন বোর্ড থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়; তারপর থেকে আমরা পরিবেশ নিয়ে চিন্তাই করছি না। আমার কাছে মনে হয় এখন ওই ধরনের চিন্তা ভাবনা থেকে বেরিয়ে আসা উচিত। দলের প্রতিটা খেলোয়াড় ওইভাবেই চিন্তা ভাবনা করছে। আমরা শুধুমাত্র এখানে ভালো পারফরম্যান্স করার জন্য এসেছি, এবং ভালো খেলার জন্য সবাই মুখিয়ে আছি।
নিরাপত্তাবলয় দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে একটা সুসম্পর্ক তৈরি করে জানিয়ে প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো বলেছিলেন, অনেক সময় এমন বদ্ধ পরিবেশে একসঙ্গে থাকাটা দলের জন্য ভালো হতে পারে। এটা দলের ফাঁকফোকরগুলোকে ঝালাই করে দিতে পারে। এমন পরিবেশ দলের মধ্যে ঐক্য ও যোগাযোগ বাড়াতে সাহায্য করে।
আগামীকাল শুক্রবার প্রথম টি-টোয়েন্টির লড়াইয়ে মাঠে নামতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। লাহোরের গাদ্দাফি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩টায় শুরু হবে ম্যাচটি।
অর্থসূচক/এএইচআর