
সোলাইমানিকে হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে ইরাকের মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা উল্লেখ করে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনি বলেছেন, আজ ভোরে যে প্রতিশোধ নেওয়া হয়েছে তা একটি চপেটাঘাত মাত্র। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো গোটা অঞ্চলে মার্কিন সেনা উপস্থিতির অবসান ঘটাতে হবে। তারা এই অঞ্চলে যুদ্ধ, বিশৃঙ্খলা ও ধ্বংসযজ্ঞ নিয়ে এসেছে। বিভিন্ন দেশের অবকাঠামো ধ্বংস করে দিচ্ছে।

ইরাক সরকার মার্কিন সেনাদের বহিষ্কারের বিষয়ে সংসদে যে বিল পাস করেছে সেটার প্রশংসা করে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, ইরানের সংসদও মার্কিন বাহিনীকে সন্ত্রাসী হিসেবে ঘোষণা দিয়ে ভালো কাজ করেছে। আমেরিকা চায় ইরাকের সরকার ইরানের সাবেক পদলেহি সরকার অথবা বর্তমান সৌদি সরকারের মতো হবে এবং তেলসমৃদ্ধ এই অঞ্চল তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে যাতে তারা যা ইচ্ছে তাই করতে পারে। তারা দুধেল গাভী চায়। কিন্তু ইরাকের ঈমানদার তরুণ সমাজ এবং ধর্মীয় নেতৃত্ব এসবের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। জেনারেল সোলাইমানি এই বিশাল ফ্রন্টকে পরামর্শ দিয়েছেন এবং তিনি ছিলেন তাদের সম্মানিত সমর্থক।
আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনি বলেন, লেবাননের বিষয়েও একই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চায় আমেরিকা। তারা লেবাননিদের স্বাধীনতার প্রধান উপাদান ধ্বংস করতে চায়। তারা প্রতিরোধ শক্তিকে ধ্বংস করতে চায়।
অর্থসূচক/এএইচআর