১৪ দলের সমন্বয়ক ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, মাঠপর্যায়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চায়। কিন্তু জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হবে বলে খালেদা জিয়া ও তাঁর দল নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়ে জ্বালাও-পোড়াও করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাইছেন। নির্বাচন বানচালের নামে যারাই নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করবে, তাদের কঠোর হাতে দমন করা হবে।
আজ শনিবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দলের যৌথ বর্ধিত সভায় মোহাম্মদ নাসিম এ কথা বলেন।
দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, প্রয়োজনে ঘরে ঘরে গিয়ে মানুষকে ভোটকেন্দ্রে আসতে বলতে হবে। তারা যাকে ভোট দেবে, তারাই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবে। গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে হলে এর কোনো বিকল্প নেই।
বিরোধী দলকে উদ্দেশ করে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহাসচিব পর্যায়ে বৈঠকের জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবকে আমন্ত্রণ জানালেন। কিন্তু বিএনপির মহাসচিব তা না করে গতকাল শুক্রবার তাঁদের জনসভায় হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে দেশকে অচল করে দেবেন। বিএনপি আসলে জামায়াতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার জন্য নির্বাচনে আসতে পারছে না। বিএনপির অনেকেই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য আগ্রহী। নির্বাচনে অংশ না নিলে বিএনপি একদিন তাদের দলীয় নেতা-কর্মীদের বিরাগভাজন হবে। তিনি বিএনপিকে হঠকারিতা পরিহার করে আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পরামর্শ দেন।
মোহাম্মদ নাসিম আরও বলেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলেও জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এই নির্বাচনে অংশ নেবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারিতে বিএনপি এককভাবে নির্বাচন করেছিল। তাতে কোনো দল অংশ নেয়নি। কিন্তু এবারের প্রেক্ষাপটে বিএনপি ছাড়া অন্য সব দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। যে কারণে এই নির্বাচনকে ১৫ ফেব্রুয়ারির মতো নির্বাচন মনে করার কোনো কারণ নেই।
জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।