রসায়নে নোবেল পেলেন যারা

চলতি বছর রসায়নে নোবেল পেয়েছেন তিন বিজ্ঞানী। তারা হলেন যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ক্যারোলিন আর বারতোজ্জি, ডেনমার্কেরর ইউনিভার্সিটি অব কোপেন হেগেনের অধ্যাপক মর্টেন মেলডাল ও যুক্তরাষ্ট্রের স্ক্রিপস রিসার্সের গবেষক কে ব্যারি শার্পলেস।

রসায়নের কঠিন কিছু বিষয়কে সহজ করে তোলার জন্য ২০২২ সালের নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ব্যারি শার্পলেস এবং মর্টেন মেলডাল রসায়ন শাস্ত্রের একটি কার্যকরী ভিত্তি স্থাপন করেছেন। ক্লিক কেমিস্ট্রি; যেখানে আণবিক ব্লকগুলো দ্রুত ও দক্ষতার সঙ্গে একত্রিত হয়। ক্যারোলিন বার্টোজি ক্লিক রসায়নকে একটি নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছেন এবং জীবন্ত প্রাণীর ক্ষেত্রে এটির ব্যবহার শুরু করেছেন।

সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে বাংলাদেশে সময় বুধবার দুপুরে এক অনুষ্ঠানে নোবেল কমিটি এই ঘোষণা দেয়। নোবেল কমিটির প্রধান থমাস পার্লম্যান টেলিফোনে এবারের নোবেল বিজয়ীদের এই সুখবর জানান। এই ঘোষণার আগে রসায়নে নোবেলের জন্য মনোনীত ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান বা সংক্ষিপ্ত তালিকা সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি। বরাবরের মতোই সব নথিপত্র অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে রেখে তা জনসাধারণের ধরাছোঁয়ার বাইরে রাখা হয়।

গত বছর রসায়নে নোবেল পেয়েছিলেন জার্মানির বেঞ্জামিন লিস্ট এবং যুক্তরাষ্ট্রে ডেভিড ম্যাকমিলান। তার আগের বছর জিনোম সম্পাদনার পদ্ধতি আবিষ্কারের জন্য যৌথভাবে রসায়নে নোবেল জিতে নেন দুই নারী। ফরাসি বিজ্ঞানী ইমানুয়েল কার্পেন্টার ও মার্কিন বিজ্ঞানী জেনিফার এ ডৌডানা এই পুরস্কার জেতেন। তাদের আগে মাত্র পাঁচজন নারী রসায়নে নোবেল পেয়েছেন। তারা হলেন, মেরি কুরি (১৯১১), জ্যালিয়ট কুরি (১৯৩৫), ডরোথি ক্রফউট হকিং (১৯৬৪), অ্যাডা আ ইয়োনাথ (২০০৯) এবং এইচ আর্নল্ড (২০১৮)।

২০১৯ সালে লিথিয়াম ব্যাটারি নিয়ে গবেষণা করে রসায়নে নোবেল পেয়েছিলেন তিন বিজ্ঞানী। তারা হলেন টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের জন বি গুডএনাফ, বিংহ্যামটন বিশ্ববিদ্যালয়ের এম স্ট্যানলি এবং মেইজো বিশ্ববিদ্যালয়ের আকিরা ইয়োশিনো। ২০১৮ সালে রসায়নশাস্ত্রে অবদানের জন্য নোবেল পুরস্কার জেতেন আমেরিকার বিজ্ঞানী ফ্রান্সেস এইচ আরনল্ড, জর্জ পি স্মিথ এবং যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানী স্যার গ্রেগরি পি উইন্টার।

প্রতি বছর শান্তি, সাহিত্য, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসা ও অর্থনীতি- এই ৬ বিষয়ে যারা বিশেষ অবদান রেখেছেন; তাদের পুরস্কার প্রদান করে সুইডেনভিত্তিক নোবেল ফাউন্ডেশন। পুরস্কার প্রদানের পর তা উদযাপনে উৎসবের আয়োজন করে নোবেল কমিটি। নোবেল কমিটির সদর দফতর নরওয়েতে।

উনবিংশ শতাব্দিতে সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেল আবিষ্কার করেছিলেন ডিনামাইট নামের ব্যাপক বিধ্বংসী বিস্ফোরক; যা তাকে বিপুল পরিমাণ অর্থ-সম্পত্তির মালিক করে তোলে। মৃত্যুর আগে তিনি ৩ কোটি ১০ লাখ ক্রোনার রেখে গিয়েছিলেন, আজকের বাজারে যা প্রায় ১৮০ কোটি ক্রোনের সমান। আলফ্রেড নোবেলের উপার্জিত অর্থ দিয়ে ১৯০১ সালে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাবিজ্ঞান, সাহিত্য ও শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের গোড়াপত্তন ঘটে। ১৯৬৮ সালে এই তালিকায় যুক্ত হয় অর্থনীতি।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.