অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, সরকারি চাকরিজীবীদের মতো বেসরকারি খাতে কর্মরতরাও এক সময় পেনশন পাবেন। বেসরকারি খাতে পেনশন চালু করতে সরকার উদ্যোগ নিচ্ছে। এ ব্যাপারে আইন-কানুন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে।
রোববার সচিবালয়ে এক প্রাক-বাজেট বৈঠক শেষে তিনি সাংবাবিদকদের এ কথা বলেন। তিনি জানান, আগামি বাজেট ৫ টি বিষয়ে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এগুলো হচ্ছে- অবকাঠমো, বিদ্যুত, কৃষি, জনশক্তি ও প্রশাসসনিক সংস্কার।
সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এ আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। সভায় অর্থসচিব ড. ফজলে কবীর, ব্যাঙক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ড. আসলাম উদ্দিন, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান উপস্থিত ছিলেন। এতে বেসরকারি সংস্থা গণস্বাস্থ্যের প্রধান ডা. জাফর উল্লাহ চৌধুরী, গণ স্বাক্ষরতা অভিযানের প্রধান ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, মহিলা পরিষদের সভানেত্রী আয়েশা খানমসহ বিভিন্ন এনজিও’র প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
সভায় রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে বৃত্তি নারী শিক্ষার প্রসার ঘটাচ্ছে। তবে এ বৃত্তির পরিমাণ অপ্রতুল। আগামি বাজেটে বৃত্তির পরিমাণ বাড়ানো দরকার।
তিনি শিক্ষা গবেষণায় পর্যাপ্ত বরাদ্দ রাখার আহ্বান জানান। এ বিষয়ে তিনি বলেন, কৃষি গবেষণায় সরকার বরাদ্দ রাখায় এ খাতে অনেক সুফল পাওয়া যাচ্ছে। শিক্ষা খাতে বরাদ্দ রাখলে গবেষণা থেকে ভাল ফল পাওয়া যাবে, যা দেশের মানব সম্পদ উন্নয়নে সহায়ক হবে।
ডা. জাফর উল্লাহ চৌধুরী বলেন, বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে পযাপ্ত বরাদ্দ থাকে না। দেশের দরিদ্র-সাধারণ মানুষ এ মৌলিক অধিকার থেকে অনেকটাই বঞ্চিত। তাই আগামি বাজেটে বরাদ্দ বাড়াতে হবে।
তিনি ওষুধের দাম নির্ধারণের এখতিয়ার সরকারের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার দাবি জানান। বর্তমানে কোম্পানিগুলোর হাতে এ ক্ষমতা থাকায় সাধারণ মানুষকে জিম্মি বানিয়ে তারা অতিরিক্ত মুনাফা নিচছে।
ওষুধ কোম্পানির মালিকরা ১৯৯৪ সালের একটি অধ্যাদেশে দেওয়া সুযোগের অপব্যবহার করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। এ অধ্যাদেশে ওষুধের দাম নির্ধারণের এখতিয়ার সরকারের পরিবর্তে কোম্পানিগুলোর উপর ন্যস্ত করা হয়। তিনি এ অধ্যাদেশ বাতিলের দাবি জানান।