‘চুলের মূল্য সে-ই বোঝে যার মাথায় চুল নেই’। আসলে চুলই মানুষের সৌন্দর্যের প্রতীক। কারণ চুল শুধু রোদের তাপ, বিভিন্ন জীবাণুর আক্রমণ ও ধোঁয়া-ধুলোর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মাথার ত্বককে রক্ষা করে না, বরং সৌন্দর্যকেও বাড়িয়ে তোলে।
তবে চুলের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় গ্রীষ্মকালে। কারণ বাইরের রোদের কারণে এসময় ঘাম হয়ে চুল চটচটে হয়ে যায়। এ সময় চুলের গোড়ায় প্রচুর ঘাম জমায় মাথার ত্বক সর্বদাই ভেজা থাকে। ফলে সেখানে ময়লাও জমে প্রচুর। কারো চুলে রুক্ষতা আসে, কারো ডগা ফাটে, তাতে খুসকি হয়, এমনকি চুলও পড়ে। তাই চিকিৎসকেরা চুলের যত্নে ব্যবহার করার পরামর্শ দেন মানানসই শ্যাম্পু। তাহলে জেনে নিন- কোন চুলের জন্য কোন শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন।
# ঘন ও কোঁকড়া চুলের জন্য বাদামের তেল সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজিং শ্যাম্পু কিনুন। আর এর সাথে ময়েশ্চারাইজিং কন্ডিশনারও ব্যবহার করুন। তাহলেই আপনার চুল শুষ্কতা থেকে রক্ষা পাবে।
# আপনার চুল তৈলাক্ত হলে প্রতিদিন শ্যাম্পু করা বাধ্যতামূলক। তাহলে মাথায় খুশকি থাকবে না। এছাড়া তৈলাক্ত চুলের জন্য ইউভি সমৃদ্ধ শ্যাম্পু ও কন্ডিশনারও অনেক কাজ দেয়।
# শুষ্ক ও ক্ষতিগ্রস্থ চুলের জন্য এগ ও অ্যালোভেরা সমৃদ্ধ শ্যাম্পু ব্যবহার করাই ভাল। সেই সাথে নিয়মিত কন্ডিশনারও ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে ক্ষতিগ্রস্থ চুলের জন্য আল্ট্রা ময়েশ্চারাইজিং কন্ডিশনার ব্যবহার করা ভাল।
# রং করা চুলের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল এ চুলের গোড়া তৈলাক্ত হলেও আগা শুষ্ক থাকে। তাই এ ধরনের চুলের আগায় ময়েশ্চারাইচিং সমৃদ্ধ শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করা ভাল। আর যতটুকু পারা যায় নিয়মিতভাবেই চুলের আগা ছেটে ফেলতে হবে।
এমনকি চুলের যত্নে আরও অনেক পদ্ধতি আছে যাতে আপনার চুল হবে আরও সুন্দর, আরও ঝরঝরে। এজন্য আপনি অনায়াসেই করতে পারেন এই কাজগুলো-
# সূর্যতাপ থেকে চুলকে রক্ষা করতে ছাতা ব্যবহার করুন।
# চুলের রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখতে চুল আঁচড়ানোর সময় চিরুনি ব্যবহার করুন।
# ভেজা চুলে বাইরে বের হবেন না।
# চুল শুকানোর ক্ষেত্রে হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। প্রয়োজনে ফ্যানের বাতাসে চুল শুকাতে পারেন।
# মাসে অন্তত একবার হেয়ার এক্সপার্ট পার্লারে গিয়ে চুলের পরিচর্যা করুন।
এএসএ/এস রহমান