স্টক এক্সচেঞ্জের শেয়ারহোল্ডাররা (ব্রোকারহাউজ) প্রাথমিক গণ প্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজারে শেয়ার ছেড়ে মূলধন সংগ্রহ করতে চায়। তারা মনে করে, এ সুযোগ দেওয়া হলে প্রতিষ্ঠানগুলোর মূলভিত্তিই শুধু শক্তিশালী হবে না, ব্যাংকের উপর নির্ভরতাও কমবে।
বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক মত বিনিময় সভায় বিষয়টি তুলে ধরে তারা। বর্তমান বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা, মন্দা উত্তরণে করনীয় নির্ধারণ ও টি প্লাস টু চালুসহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনার জন্য এ বৈঠক আহ্বান করা হয়। ডিএসইর শীর্ষ ৩০ ব্রোকারহাউজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এ বৈঠকে যোগ দেন।
জানা গেছে, বৈঠকে লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ লিমিটেড ব্রোকারহাউজকে আইপিওতে আসার অনুমতি দেওয়ার প্রস্তাব উত্থাপন করে। বৈঠকে উপস্থিত বেশিরভাগ ব্রোকারহাউজের সিইও এটি সমর্থন করেন।
ব্রোকারহাউজের সিইওরা বলেন, এখনো পুঁজিবাজার অনেকাংশে ব্যাংক নির্ভর। আর এ কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক পুঁজিবাজারে তফসিলি ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ বিষয়ে কোনো কঠোর অবস্থান নিলে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। ব্রোকারহাউজগুলো আইপিওর মাধ্যমে মূলধন সংগ্রহ করতে পারলে তাদের বিনিয়োগ সক্ষমতা অনেক বাড়বে। এতে ব্যাংক নির্ভরতা কমে আসবে। বাজার অনেক বেশি স্থিতশীল হবে।
ডিএসই কর্তৃপক্ষ এ প্রস্তাব তাদের পর্ষদ বৈঠকে পর্যালোচনা করে দেখার আশ্বাস দেয়। বিষয়টিকে ইতিবাচক মনে হলে তারা এ ব্যাপারে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সুপারিশ করবেন ।
উল্লেখ, ২০১০ সালে লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ লিমিটেড প্রথম ব্রোকারহাউজ হিসেবে আইপিওতে আসার আবেদন করেছিল। প্রতিষ্ঠানটি বাজার থেকে ৭৫০ কোটি টাকা সংগ্রহ করতে চেয়েছিল। তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা এ প্রস্তাব অনুমোদন করে নি।
বর্তমানে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে চারশর বেশি ব্রোকার রয়েছে। এদের মধ্যে শতাধিক ব্রোকারের রয়েছে ভাল মূলধন ভিত্তি ও করপোরেট স্ট্রাকচার। এদের বড় অংশই বিভিন্ন ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বিমা কোম্পানির সহযোগী প্রতিষ্ঠান। বাজারে শেয়ার ছাড়লে এসব প্রতিষ্ঠান (ব্রোকারহাউজ) বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ভাল সাড়া পাবে বলে আশা করছেন এদের প্রধান নির্বাহীরা।