ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকোলজি ডিপার্টমেন্টের অধ্যাপক মুহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, বিমার সফলতা নির্ভর করে আবেগীয় বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেয়ার ওপর। এ জন্য বিমা কোম্পানিগুলোতে কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে কর্মীর আবেগ ও বুদ্ধিমত্তার উপযুক্ত সমন্বয় ঘটানোর দক্ষতা বিবেচনা করা উচিত।
বুধবার বাংলাদেশ ইন্সুরেন্স অ্যাকাডেমি (বিআইএ)আয়োজিত বিমা খাতের নির্বাহীদের জন্য ‘কর্ম ক্ষেত্রে আবেগীয় ও যৌক্তিক বুদ্ধিমত্তা’ শীর্ষক সেমিনার তিনি এ কথা বলেন।
বিআইএ’র পরিচালক ও যুগ্ম সচিব এফ কামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে এতে অংশ গ্রহণ করেন বিভিন্ন কোম্পানির ১১০ জনের অধিক বিমা কর্মকর্তারা। সেমিনারের উদ্বোধন করেন বিআইএর’র চিফ ফ্যাকালির্ট সদস্য এস এম ইব্রাহিম হোসেন।
এতে গবেষণা পেপার উপাস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকোলজি ডিপার্টমেন্টের অধ্যাপক মুহাম্মদ কামাল উদ্দিন এবং একই বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিমা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রওশন আলী। আলোচনায় অংশ নেন র্যাপোর্ট বাংলাদেশ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. এম মোশাররফ হোসেন, বাংলাদেশ ইন্সুরেন্স অ্যাকাডেমির চিফ ফ্যাকাল্টি সদস্য এসএম ইব্রাহিম হোসাইন, এসিআইআই। সেমিনারটির মিডিয়া পার্টনার হিসেবে সহযোগিতা করে ইন্সুরেন্সনিউজবিডি ডটকম।
মুহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, বিমা কোম্পানিতে কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে একজন কর্মী কী ধরণের আবেগীয় বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিতে পারবেন তা যাচাই করে নিয়োগ দেয়া উচিত। একজন বিমা কর্মী তার ক্লায়েন্টের আবেগকে বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে কাজে লাগাতে পারে। আর আবেগকে কাজে লাগানোর দক্ষতাও বাড়ানো যায়। সফলতার স্বার্থেই কোম্পানিগুলোকে এদিকে বিশেষ নজর দেয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি ।
রওশন আলী বলেন, জীবন বিমা হলো কার্যকর নেতৃত্বের ক্ষেত্র। আর এ ক্ষেত্রে ক্ষমতাই হলো মূল। ক্ষমতা না থাকলে নেতৃত্ব দেয়া যায় না। ডাইরেক্টিভ, সাপোর্টিভ ও পার্টিসিপেটিভ এ গুনগুলোর সমন্বয় ঘটাতে পারলেই যেকোনো কাজে সফলতা আসতে বাধ্য।
এসএম ইব্রাহিম হোসাইন, এসিআইআই বলেন, প্রতিষ্ঠানের প্রতি ভালোবাসা এবং দায়বদ্ধতা নিয়ে কাজ করাই হলো আবেগ। পারিপার্শ্বিক অবস্থা অনুযায়ী আচরণ করতে পারলেই সফলতা আসবে।
জিইউ