রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা বন্ধ রয়েছে। শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের সঙ্গে কর্মচারীদের সংঘর্ষের পর সেখানে সকল প্রকার চিকিৎসা সেবা বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে চিকিৎসকরা কাজ বন্ধ রাখায় ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগীরা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংক থেকে এক রোগীকে ভুল রিপোর্ট দেওয়ার বিষয়ে খোঁজ নিতে গেলে সোমবার রাত আড়াইটার দিকে টেকনিশিয়ান ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা এক শিক্ষানবিশ চিকিৎসককে মারধর করে।
এর জের ধরে সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ও শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের সাথে কর্মচারীদের সংঘর্ষ হয়।
তবে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী সমিতির দাবি ভুল রিপোর্টের কারণে নয়, হাসপাতালে রক্ত পরীক্ষার জন্য কেন টাকা নেওয়া হয়- তা নিয়ে শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা প্রশ্ন তুললে সোমবার রাতে কথা কাটাকাটি হয়।
এদিকে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা রোগীদের জরুরি বিভাগের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেলেও ভেতরে কোনো চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে না বলে জানান তারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক আবদুর রশিদ বলেন, তিনি নিজে সকাল থেকে কোনো রোগী দেখেননি।
কালীগঞ্জ থেকে আসা আব্দুর রহমান জানান, তিনি প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছেন। কিন্তু কোনো ডাক্তার পাচ্ছেন না।
এমন ভোগান্তিতে পরেছেন আরও অনেকে, কেউ কেউ সেখানে দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর চলে গেছেন অন্য কোনো হাসপাতালে।
এদিকে শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করা পর্যন্ত কাজে ফিরবে না।