গত শতাব্দী থেকে দুর্যোগের তালিকায় যুক্ত হয়েছে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের নাম। অপেক্ষাকৃত নতুন হলেও ধারণা করা হচ্ছে ধ্বংলীলায় এই দুর্যোগ পূর্বসুরীদেরকে ছাড়িয়ে যাবে। এমনকি এই হাঙরের করাল গ্রাসে পড়ে আগামি একশ বছরের মধ্যে বাস্তুহারা হয়ে পড়বে মালদ্বীপের মত দেশের জনগণ। তাই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষের জন্য ভবিষ্যত বাসস্থান তৈরির লক্ষ্যে রাতের ঘুম হারাম করে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন গবেষকরা। এরই ধারবাহিকতায় মাইকেল পোজ্জোলান্তে নামের এক ইতালিয়ান নকশাবিদ তৈরি করেছেন ভবিষ্যতের বাসস্থান ‘ভাসমান দ্বীপ’। খবর ডেইলি মেইলের।
মনকাড়া ডিজাইনের পরিবেশবান্ধব এই রিসোর্টে শক্তির প্রধান উৎস হিসেবে ব্যবহার করা হবে সৌরশক্তি। এতে রয়েছে লাক্সারিয়াস বেডরুম, রেস্টুরেন্ট, স্পা সেন্টার, বার, মিনি এয়ারপোর্ট এবং হেলিপোর্ট সহ নানা সুবিধা। এছাড়াও এর নিচের দিকে রয়েছে ফ্লোটিং পড, যার মাধ্যমে আগ্রহীরা সমুদ্রের নিচের প্রাণী এবং পরিবেশ উপভোগের সুযোগ পাবেন। আর স্পীড বোট সুবিধাতো আছেই।
পোজ্জালান্তো জানান, এই নকশা অনুসারে ভাসমান বাসস্থান নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যেই মালদ্বীপ সরকারের কাছ থেকে প্রস্তাব পেয়েছেন তিনি।
তার মতে, এই ভাসমান দ্বীপ ভবিষ্যতে মানুষের বিকল্প বাসস্থান হিসেবে ব্যবহারের পাশাপাশি বর্তমানে অবকাশ যাপন কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
তবে এই ভাসমান দ্বীপের প্রাথমিক মূল্যটা একটু বেশি, প্রায় ১৪ কোটি ৫০ লাখ ইউরো।