ছাত্রীকে লাথি দেওয়া এবং অকথ্য ভাষায় গালি দেওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের আয়েষা মাহমুদা নামে এক শিক্ষিকাকে বাধ্যতামূলক ছুটি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যায়ের সিন্ডিকেট সভায় ছাত্রীর সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগে তাকে বাধ্যতামূলক ছুটি দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের একাধিক সদস্য এ কথা নিশ্চিত করেন। তারা জানান, সিন্ডিকেটের সর্বশেষ বৈঠকে আয়েষা মাহমুদাকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সূত্র জানায়, গত ১৮ফেব্রুয়ারি দুপুর ১টায় রিসার্সের কাজে বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্রী রোকসানা পারভিন প্রজেক্ট সুপারভাইজার জামিয়ুন নাহারের (রুম-৩০৩৪) সাথে দেখা করতে যান। অভিযুক্ত ওই শিক্ষিকার রুমও ছিল একই।
ওই ছাত্রী রুমে ঢোকার কয়েক মিনিটি পর ওই শিক্ষিকা রুমে প্রবেশ করে এবং তাকে দেখে বিরক্তি প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে পাঁচ মিনিট পর তিনি রুম থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় ওই ছাত্রীকে লাথি মারেন এবং “রক্ষিতা” বলে গালি দেন।
পরবর্তীতে বিষয়টি জানাজানি হলে ২০ফেব্রুয়ারি শিক্ষিকার বিচারের দাবিতে আন্দোলনে নামে বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা শিক্ষিকাকে রুমে তালা দিয়ে আটকিয়ে রাখে। পরবর্তীতে প্রক্টরের নির্দেশে রুমের তালা ভেঙে দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, আয়েষা মাহমুদা সম্প্রতি অধ্যাপক হয়েছেন। তিনি বিভাগের অন্য এক শিক্ষকের সঙ্গে একই কক্ষে বসতেন। কিন্তু তিনি একা সেই কক্ষ চেয়েছিলেন। এজন্য তিনি অপর শিক্ষক জামিউন নাহারকে কক্ষটি খালি করে দিতে বলেন।
বিভাগের শিক্ষার্থী ও একাধিক শিক্ষকের অভিযোগ ছিল, আয়েষা মাহমুদা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতেন। পাশাপাশি জামিউন নাহারের সঙ্গে তার কক্ষে কেউ দেখা করতে গেলে আয়েষা বাজে ব্যবহার করতেন।
এএইচ/সাকি