নতুন বছরে এসে গতি হারিয়েছে রপ্তানি আয়। জানুয়ারির পর ফেব্রুয়ারি মাসেও কমেছে এ খাতের প্রবৃদ্ধি। ফেব্রুয়ারি মাসে রপ্তানি আয় বেড়েছে মাত্র ৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ। এ মাসে লক্ষ্যমাত্রাও অর্জিত হয়নি। প্রকৃত রপ্তানি আয় হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ কম। কম। বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
গত বছরের নভেম্বর মাসের পর থেকেই রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধির হার কমেছে। নভেম্বর মাসে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ২৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ। ডিসেম্বরে তা নেমে আসে ১০ দশমিক ৫৪ শতাংশ। জানুয়ারিতে তা সিঙ্গেল ডিজিটে নেমে আসে, প্রবৃদ্ধির হার হয় ৭ দশমিক ৮১ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে তা আরও কমে ৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ হয়।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৪৮ কোটি ২৭ লাখ মার্কিন ডলার। তবে এর বিপরীতে রপ্তানি হয়েছে ২৩৮ কোটি ৯৪ লাখ ২০ মার্কিন ডলার। লক্ষ্যমাত্রার ৯ কোটি ৩৩ লাখ ডলার কম।
অন্যদিকে গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে রপ্তানি আয় হয়েছিলো ২২৪ কোটি ৬৫ লাখ মার্কিন ডলার। গত বছরের তুলনায় রপ্তানি বেড়েছে ২৩ কোটি ৬২ লাখ।
তবে অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসের (জুলাই-২০১৩ থেকে ফেব্রুয়ারি-২০১৪) মোট রপ্তানি আয়ে এখনও ধনাত্মক অবস্থা বজায় আছে। এ সময়ে আগের বছর ও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রপ্তানি আয় বেড়েছে।
ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রপ্তানি খাতে আয় হয়েছে ১ হাজার ৯৮২ কোটি ৯০ লাখ ডলার। আগের বছর একই সময়ে ছিল ১ হাজার ৭৪০ কোটি ডলার। এক বছরের ব্যবধানে আয় বেড়েছে ২৪২ কোটি ৯০ লাখ ডলার। অন্যদিকে এ সময়ে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৯৪০ কোটি ৭১ লাখ ডলার। লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রপ্তানি বেড়েছে ৪২ কোটি ১৯ লাখ ডলার।
মূলত তৈরি পোশাক খাতে রপ্তানি আয় কমে যাওয়ার প্রভাবে সামগ্রিক রপ্তানির প্রবৃদ্ধি কমেছে। অর্থবছরের প্রথমভাগে নিম্নতম মজুরী ও রানা প্লাজার দূর্ঘটনা থেকে সৃষ্ট শ্রমিক অসন্তোষ ও পরবর্তীতে হরতাল-অবরোধের মত সহিংস রাজৈনিতক কর্মসূচিতে অনেক ক্রেতা পোশাকের ক্রয়-আদেশ ফিরিয়ে নেয়। অন্যদিকে পাট ও চামড়ায় ছিল নিম্নমূখী ধারা। সব মিলিয়েই ফেব্রুয়ারিতে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয় নি।
* তৈরি পোশাকের রপ্তানি আয় নিয়ে পড়ুন একটি আলাদা প্রতিবেদন আজ সোমবার সন্ধ্যার পর