বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ নেগোসিয়েশন টিমের সমন্বয়কারী ড. খলিকুজ্জামান আহমদ বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিদেশি রাষ্ট্রগুলো থেকে ক্ষতির পরিমাণের অর্থ আদায়ের ক্ষেত্রে তৎপরতা চালাতে হবে। একই সাথে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুতিও গ্রহণ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ উন্নয়ন পরিষদ আয়োজিত ‘প্রগ্রেস অফ গ্লোবাল ক্লাইমেট নেগোশিয়েশন: ভয়েস অফ দ্য সিভিল সোসাইটি অন এডিপি’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
খলিকুজ্জামান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশের যে ক্ষতি হচ্ছে সেই পরিমাণ অর্থ বাংলাদেশকে দেওয়ার অঙ্গিকার করলেও উন্নত দেশেগুলো তা পূরণ করেননি। তাই এসব অঙ্গিকার বাস্তবায়ন করতে বাংলাদেশকেই এগিয়ে আসতে হবে।
বাংলাদেশে জলবায়ুজনিত ক্ষতির বিষয়ে আলোচনাগুলো অন্যদিকে চলে যাচ্ছে। এ কারণে এসব বিষয়ে আমাদের সচেতন মহলকে এগিয়ে আসতে হবে। অন্যথায় দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, আগামি ১০ মার্চ জার্মানির বন শহরে এডিপির পরবর্তী সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেই সভায় বাংলাদেশের বিষয়গুলো গুরুত্বসহকারে তুলে ধরতে হবে। এই জন্য বাংলাদেশকে প্রস্তুতি নিতে হবে।
এছাড়া দেশে গ্রীন হাউজ গ্যাস নির্গমণ কমাতে গাছ নিধন বন্ধ করার পাশাপাশি অতিরিক্ত গাছ লাগানোর পরামর্শও দেন তিনি।
সরকার ইতোমধ্যে জলবায়ু মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। এর প্রভাবে যে ক্ষতি হচ্ছে তা মোকাবেলা করা বাংলাদেশের পক্ষে কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তবুও যতটা সম্ভব উন্নত দেশগুলোর সাথে এ বিষয়ে জোরালো সম্পর্ক স্থাপন করে ক্ষতির পরিমাণ আদায়ে সর্বোচ্চ ভূমিকা পালন করতে হবে। আর এই জন্য সরকারকে আরও মননশীল হতে হবে।
আলোচনা সভায় বাংলাদেশ উন্নয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ জলিলের সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের ভাইস চেয়ারম্যান ড. রেজাউল করিম, নির্বাহী পরিচালক ড. নিলুফার বানু, বিআইডিএসর সাবেক গবেষণা পরিচালক ড. আসাদুজ্জামান, প্রাণী সম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক ড. জাহাঙ্গির আলম প্রমুখ।
জেইউ/কেএফ/সাকি