রেলওয়ে নিয়োগ দুর্নীতির ৬টি মামলার পলাতক আসামি বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চন মহাপরিচালক ইউসূফ আলী মৃধা চট্টগ্রামের একটি আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। সাবেক রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিতের পিএসের গাড়িতে বস্তাভর্তি ৭০ লাখ টাকা উদ্ধারের ঘটনায় মৃধাসহ আরও ৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অবৈধ নিয়োগ মামলায় তিনি পলাতক থাকায় চারটি মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে চট্টগ্রাম আদালত।
সোমবার চট্টগ্রাম মহানগর আদালতে বেলা ১২টার দিকে তিনি আত্মসমর্পণ করেন। এস এম মুজিবর রহমানের আদালতে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় বিচার চলছে। এর আগে আরও তিনটি নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ইউনুফ আলী মৃধার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। ই্তোমধ্যে তার বিরুদ্ধে আরও ৮টি মামলায় চার্জশিট গঠন করেছেন আদালত।
আদালত সূত্রে জানা যায়, দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারি পরিচালক এস এম রাসেদুল রেজা ২০১২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর বাদী হয়ে রেলওয়ে সহকারি রসায়নবিদের বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতি অভিযোগ এনে ইউসুফ আলী মৃধাসহ ৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলাটির চার্জশিট গঠন করা হয় গত বছরের ১৮ আগষ্ট ।
এছাড়া, সহকারী কেমিস্ট পদে নিয়োগের অভিযোগে তিন কর্মকর্তাসহ নিয়োগ পাওয়া তিন প্রার্থির বিরুদ্ধে গত বছরের ২০ অক্টোবর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। তারা হলেন- গনেশ চন্দ্র শীল, সুলতানা বেগম এবং জহিরুল ইসলাম ।
এর আগে ৬ অক্টোবর ট্রেনের চেকার নিয়োগের অনিয়মের অভিযোগের এক মামলায় মোট ছয়জন আসামির মধ্যে দু’জন হাইকোর্টের জামিনে থাকায় বাকি চার জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। তাদের না পেলে তাদেরও সম্পত্তি জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। তারা হলেন- রেলের বরখাস্ত হওয়া দুই কর্মকর্তা মহা-ব্যবস্থাপক ইউসুফ আলী মৃধা ও সমাজ কল্যাণ কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়াসহ অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া প্রার্থী মোছাম্মৎ শাহিদা আক্তার ও নাজিম উদ্দিন। রোববারের দুটি মামলার রায় নিয়ে মোট তিনটি মামলার রায় দিয়েছেন আদালত।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৯ এপ্রিল সাবেক রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিতের পিএসের গাড়িতে বস্তাভর্তি ৭০ লাখ টাকাসহ গাড়িটি পিলখানার ভিতরে নিয়ে যায় গাড়ি চালক। এ সময় বিজিবি’র সদস্যরা গাড়িতে থাকা দুই কর্মকর্তা মহা-ব্যবস্থাপক ইউসুফ আলী মৃধা ও সমাজ কল্যাণ কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়াকে আটক করে। এর পর থেকে রেলমন্ত্রীর পদ ছাড়তে বাধ্য হন সুরঞ্জিত ।
কেএফ