প্রেমিকের বাড়িতে স্ত্রীর দাবি করতে এসে প্রেমিকের পরিবারের হাতে প্রহারে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন প্রেমিকা শাকিলা আক্তার বন্যা।
শনিবার সকালে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার পৌর শহরের কাঁটাবাড়ী নয়াপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
প্রহারের শিকার প্রেমিকা অভিযোগ করেন, মোবাইল ফোনে কথা বলার সুবাদে গত ২ বছর থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে ফুলবাড়ী উপজেলার পৌর শহরের কাঁটাবাড়ী নয়াপাড়া গ্রামের পশু চিকিৎসক নুরুল ইসলামের ছেলে আরিফুল ইসলাম আরিফের সাথে। আরিফ প্রেমের সুবাদে তার সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার স্বপ্নপুরীসহ বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে স্বামী স্ত্রী রুপে রাত্রী যাপন করেছে। এমনকি ঢাকা শহরের একটি মহল্লায় স্থানীয় একজন ঈমামের দ্বারা তাদের বিয়েও হয়েছে। কিন্তু সেই বিয়েটি তাদের রেজিস্ট্রি হয়নি। এ জন্য পিত্রালয় ময়মনসিংহের সদর উপজেলার কাদীরগঞ্জ মহল্লার থেকে তার প্রেমিকের বাড়িতে আসে। ঐ দিন রাত ৮টায় তার প্রেমিকের বাড়ি দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার পৌর শহরের কাঁটাবাড়ী নয়াপাড়া গ্রামে গেলে তাকে দেখে চমকে উঠে তার প্রেমিক আরিফুল ইসলাম। এ সময় তাকে বিয়ে রেজিস্ট্রি করার চাপ দিলে সে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। কিন্তু প্রেমিকা শাকিলা আক্তার বন্যা এত টাকা কেন যৌতুক দিবে এ কথা বলা মাত্র প্রেমিকের মা ও তার সৎ মা’সহ পরিবারের লোকজন তাকে বেদম মারপিট করে। এ সুযোগে প্রেমিক আরিফ বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। তাকে মারপিট করার কারণে তার আত্মচিৎকারে স্থানীয় বাসিন্দারা এগিয়ে আসলে তাদের সহযোগিতায় সে ফুলবাড়ী থানায় আশ্রয় নেয় এবং মারপিট এর আঘাতে তার মাথা ফেটে যাওয়ায় ফুলবাড়ী থানা পুলিশ তাকে ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এ বিষয়ে ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত) এসআই রফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিনি মারপিট এর কথা স্বীকার করে বলেন, তাকে মারপিট করা হয়েছে। কিন্তু তার নিকট কোন প্রকার কাবিননামা না থাকায় এবং ঘটনাস্থল নবাবগঞ্জ থানায় হওয়ায় এই থানায় মামলা দায়ের করা সম্ভব হয়নি। এ জন্য তাকে নবাবগঞ্জ থানা অথবা দিনাজপুর জজ আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
অপর দিকে প্রেমিক আরিফুল ইসলাম আরিফের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে আরিফের পিতা পশু চিকিৎসক নুরুল ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার ছেলে তার সঙ্গে কি সম্পর্ক স্থাপন করেছে তা তিনি জানেন না এবং ঘটনার সময়েও তিনি বাড়িতে ছিলেন না। তিনি এর বেশি কিছু বলতে রাজি হননি।
সাকি/