অধ্যাপক আবদুল হাফিজ আমাদের ফোকলোরকে বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে দাঁড়করণে পুরোধাপ্রতিম ভূমিকা পালন করেছেন এমন মন্তব্য করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান।
রোববার বিকেল ৪টায় অমর একুশে গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত আবদুল হাফিজ ফোকলোরের জনপ্রান্তরের ভেতরে শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ফোকলোরের পাশাপাশি আধুনিক সাহিত্যের আলোচনায়ও তার স্বাতন্ত্র আমাদের মনোযোগ আকর্ষণ করে। তিনি আরও বলেন, বিস্মৃত এই ফোকলোর গুণীকে নিয়ে বাংলা একাডেমি অচিরেই নিবিড় আলোচনার আয়োজন করবে এবং তার রচনাবলি ও জীবনী প্রকাশের উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
প্রাবন্ধিক কথাশিল্পী সেলিনা হোসেন বলেন, আবদুল হাফিজ ছিলেন ফোকলোরের একজন ঋদ্ধ মানুষ। তিনি মাঠপর্যায়ে নিজে ফোকলোরের বিভিন্ন উপাদান সংগ্রহ করেছেন এবং এর তাত্ত্বিক ব্যাখ্যাতেও নিজস্ব চিন্তার মৌলিকতা যুক্ত করেছেন। ফোকলোর তার গবেষণার প্রধান ক্ষেত্র হলেও সাহিত্যের অন্যান্য শাখায়ও তিনি রেখেছেন বৈশিষ্ট্যের স্বাক্ষর। জ্ঞানচর্চার বহুমাত্রিক বিন্যাসে আবদুল হাফিজ আমাদের জ্ঞানচর্চার বিস্তৃত পরিসরে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
আলোচকবৃন্দ বলেন, বাংলা ফোকলোরের রূপ-রূপান্তরে আবদুল হাফিজ তার অনন্য সাধারণ ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। আমাদের লৌকিক ঐতিহ্যের অনুসন্ধানে তাঁর গবেষণামূলক গ্রন্থ ও রচনাসমূহের অবদান অসামান্য।
তারা বলেন, ফোকলোর উপাদান ব্যবহারের ক্ষেত্রে মৌলিক চিন্তার বিকাশে তিনি ছিলেন এক অনন্য ব্যক্তিত্ব। তারা বলেন, ফোকলোর অধ্যয়নে মনোসমীক্ষণ পাঠকে যুক্ত করে আবদুল হাফিজ আমাদের ফোকলোরের আধুনিক অভিযাত্রাকে নিশ্চিত করেছেন। বাংলাদেশের লোক কাহিনির বৈজ্ঞানিক শ্রেণিকরণে তার গবেষণা পদ্ধতি উত্তরকালের গবেষকদের কাছে অনুসরনীয় হয়ে থাকবে।
অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কথাশিল্পী সেলিনা হোসেন। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন তসিকুল ইসলাম রাজা, শাহিদা খাতুন এবং মোস্তফা তারিকুল আহসান। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান।