সাগর-সাগরের মোহনা, নদীতে জলদস্যু দমন, ভিজিএফের দুর্নীতি বন্ধ করা, খাদ্য সহায়তা চালু রাখা, মা মাছ রক্ষায় জেলেদের খাদ্য সহায়তা প্রদান, প্রকৃত মৎস্যজীবীদের জলমহাল দেওয়াসহ বেশ কয়েকটি দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী জেলা সমিতির নেতারা।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের হলরুমে এক সংবাদ সম্মেলনে নেতারা এসব দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সমিতির সাধারণ-সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সিকদার বলেন, বাংলাদেশের মৎস্যজীবী সম্প্রদায় নানা প্রতিকূলতা, জলদস্যু, মৎস্যদস্যু, মহাজন ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের অত্যাচারের শিকার।
এ বিষয়ে সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পগুলো আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও প্রভাবশালীদের কারণে বাস্তবায়ন হচ্ছে না। ফলে অসহায় হতদরিদ্র জেলেরা এগুলোর সুফলও পাচ্ছে না।
উজানের সকল নদীতে বাঁধ দেওয়ার কারণে নদীগুলো নাব্য হারিয়ে ফেলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশীয় প্রজাতির বহু মাছ হারিয়ে গেছে। বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা সংরক্ষণের জন্য কারেন্টজাল, কাঠিজাল, নেটজাল, পাইজাল ইত্যাদি নিষিদ্ধ হলেও স্থানীয় প্রভাবশালীদের কারণে এই জাল ব্যবহার বন্ধ হচ্ছে না। এর ফলে শত শত টন ছোট মাছ দেশের বিভিন্ন জায়গায় অবাধে বিক্রি হচ্ছে।
আর এসব অনৈতিক বিষয়ে মৎস ও প্রাণী সম্পদক মন্ত্রণালয় পরিপত্র জারি করলেও তার বাস্তবায়ন হয়নি আজও। ফলে এ সেক্টরের পেশাজীবীদের এখন দুরাবস্থা। এ অবস্তা চলতে থাকলে এ পোশার সাথে জড়িত প্রায় ত্রিশ লাখ মানুষ বেকার হবে।
এ সময় তিনি সরকারের স্বরাষ্ট্র মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জারীকৃত পরিপত্র ও পত্রের বাস্তবায়নের দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সমিতির সহ-সভাপতি আমির হোসেন, প্রচার-সম্পাদক আলী আহমদ গাজী, চন্দ্র বরমন প্রমুখ।
জেইউ/সাকি