শাহবাগ থেকে টিএসসি, টিএসসি থেকে দোয়েল চত্বর, পলাশি থেকে শহীদ মিনার, বাংলা একাডেমি থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এখন জনসমুদ্রে ভরা। সবার মনে উৎসবের আমেজ। দিনের সূর্য গড়িয়ে বিকেলের আমেজ ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে দর্শনার্থী, পাঠক ও ক্রেতার সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।
বাহিরে বসেছে বারোয়ারি মেলা- যেখানে পাওয়া যাচ্ছে হাঁড়ি-পাতিল, নানা রকমের খেলনা, বসেছে খাবারের হোটেল, চটপটির দোকান, বইয়ের দোকান, ফুলের দোকান, মেলার প্রাণের জন্য যা দরকার তার কোনোটির কমতি নেই আজকের দিনে।
একুশের চেতনাকে বুকে ধারণ করে সবাই আজ এসেছে শহীদ মিনার, বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। এইগুলি সবই বাংলাদেশের ইতিহাসের ঐতিহাসিক স্থান। যেখানে এলে হৃদয়ের মধ্যে বাজে স্বাধীনতার চেতনার সুর। ভাষার জন্য শহীদ মিনার, স্বাধীনতায় বড় সাক্ষী সোহরাওয়ার্দী। তাই এখানে এলে শানিত হয় চেতনা।
মেলায় আগত ফাবিহা সোবহান বলেন, আজকে মেলায় এসেছি একুশের চেতনাকে শানিত করতে। এখানে এলে বুকের মধ্যে দেশাত্মবোধ জাগ্রত হয়। আমাদের দেশে আজ দেশাত্মবোধের বড় অভাব। মুখে আমাদের দেশ প্রেম থাকলেও বাস্তবে দেশটা দুর্নীতিতে ভরে গেছে।
উত্তরা থেকে আগত সাহরিয়ার সোহেল বলেন, প্রতিবার বই মেলায় এসে আমার খুব ভালো লাগে। বই মেলায় না এলে প্রাণের পূর্ণতা মেলে না।
তিনি বলেন, আমি প্রতি বছর এই মাসটির জন্য অপেক্ষা করি। কারণ এ বছর আমি আমার পছন্দের বইগুলো কিনে সারা বছর পড়ি। তাছাড়া বইমেলা এখন আমাদের রক্তের সাথে মিশে গেছে, তাই রক্তের টানে ছুটে আসি বলেও জানান।
কেএফ