স্বপ্ন এখন দু:স্বপ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে শিশু শিক্ষার্থী সাথীর। ইচ্ছে ছিল লেখা পড়া শিখে শিক্ষক হওয়ার। কিন্তু হঠাৎ এক সড়ক দুর্ঘটনা তার সেই ইচ্ছের ডানা গুলো দুমড়ে মুচড়ে দিয়েছে। চিকিৎসার অভাবে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী সাথীর জীবন এখন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে।
রাজশাহীর বিভাগীয় শহরের কাদিরগঞ্জ (বর্ণালী সিনেমা হল এলাকা) মহল্লার রফিকুল ইসলামের কন্যা সে। দড়িখর বনা সরকারি প্রাইমারী স্কুলের মেধাবী ছাত্রী সাথী। গতবছর অক্টোবরে ইজিবাইকের চাকায় ওড়না পেচিয়ে তার গলার হাঁড় ভেঙ্গে যায়। ওই অবস্থায় ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দীর্ঘ দিন চিকিৎসার পর এখনো সুস্থ হয়ে ওঠে নি সে। চিকিৎসার খরচ যোগাতে বাবা-মা নি:সহ হয়ে পড়েছেন। টাকার অভাবে সাথীর চিকিৎসা বন্ধ হয়ে পড়েছে। তার বাবা রফিকুল ইসলাম চা দোকানদার। সারা দিন বেচা বিক্রি করে যা আয় হয় তা দিয়ে সংসারে খরচও জোটে না। তার উপরোন্ত সাথীর চিকিৎসা চালাবেন কি ভাবে এই চিন্তায় রফিকুল ভেঙ্গে পড়েছেন।
মেয়ের চিকিৎসা করাতে দরকার প্রায় ১ থেকে দেড় লাখ টাকা। এত টাকা পাবেন কোথায় রফিকুল। চোখের সামনেই মেয়ের মৃত্যু দেখবেন তা মনে করে বার বার মুর্চ্ছা যাচ্ছেন তিনি। পরিবারে এখন কান্নার রোল পড়েছে। এদিকে সাথী ও দিন দিন প্রাণ শক্তি হারাচ্ছে।
মেয়েকে সুস্থ করে তুলতে এই অসহায় পরিবারটি প্রধানমন্ত্রীর ও সমাজের দানশীল ব্যক্তিদের কাছ থেকে সাহায্য চেয়েছেন। সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা: রফিকুল ইসলাম (বিকাশ একাউন্ট নম্বর : ০১৯৪৪৪১০০৫৭) রাজশাহী, কাদিরগঞ্জ।
সাকি/